শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ২৫ দল, যায়নি এনসিপি ও চার বাম দল *** আজকের দিন সারা পৃথিবীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে: প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই জাতীয় সনদে স্বাক্ষর করলেন প্রধান উপদেষ্টা ও রাজনৈতিক নেতারা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের আনুষ্ঠানিকতা শুরু, মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধান উপদেষ্টা, রাজনীতিবিদ ও কমিশনের সদস্যরা *** ‘প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে’ জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুরু হতে বিলম্ব হতে পারে: প্রেস উইং *** ক্ষোভ-বিক্ষোভের মুখে জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামার পঞ্চম দফা সংশোধন *** অঙ্গীকারনামায় সংশোধনী, তবুও থামছে না বিক্ষোভ *** ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ সরিয়ে দিল পুলিশ, অতঃপর... *** ‘জুলাই যোদ্ধাদের’ দাবি মেনে সনদের অঙ্গীকারনামায় জরুরি সংশোধন আনল কমিশন

বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৫:০৩ অপরাহ্ন, ১২ই জানুয়ারী ২০২৫

#

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

বায়ুদূষণ বন্ধে সাত দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে এবং এর আগে দেওয়া নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে আগামী ২৬শে জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

রোববার (১২ই জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন অ্যাডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল ও অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গণমাধ্যমকে জানান, ঢাকার বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) জনস্বার্থে ২০১৯ সালে একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। ওই রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে শহর ও তার আশপাশের এলাকার বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন। এছাড়া একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে বলেন। পরে এ বিষয় নিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে আদালত নয় দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।

নির্দেশনাগুলো হলো- ১. ঢাকা শহরে মাটি/বালি/বর্জ্য পরিবহনকারী ট্রাক ও অন্যান্য গাড়িতে মালামাল ঢেকে রাখা। ২. নির্মাণাধীন এলাকায় মাটি/বালু/সিমেন্ট/পাথর/নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা। ৩. সিটি করপোরেশন কর্তৃক রাস্তায় পানি ছিটানো। ৪. রাস্তা/কালভার্ট/কার্পেটিং/খোঁড়াখুঁড়ি কাজে টেন্ডারের শর্ত পালন নিশ্চিত করা। ৫. কালো ধোঁয়া নিঃসরণকৃত গাড়ি জব্দ করা। ৬. সড়ক পরিবহন আইন অনুসারে গাড়ির চলাচল সময়সীমা নির্ধারণ ও উত্তীর্ণ হওয়ার সময়সীমার পরে ওই গাড়ি চলাচল বন্ধ করা। ৭. অবৈধ ইটভাটাগুলো বন্ধ করা। ৮. পরিবেশ লাইসেন্স ব্যতীত চলমান টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করা। ৯. মার্কেট/দোকানগুলোতে প্রতিদিনের বর্জ্য ব্যাগ ভরে রাখা ও অপসারণ নিশ্চিত করতে সিটি করপোরেশনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা।

মনজিল মোরসেদ আরও জানান, আদালতের এমন নির্দেশনা থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ অতিসামান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করায় এবং অধিকাংশ নির্দেশনা পালন না করায় সম্প্রতি ঢাকা শহর বায়ুদূষণে বিশ্বে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। তবে কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করায় ঢাকার বায়ুদূষণের মাত্রা কিছুটা কমে এবং পরে নির্দেশনাগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঢাকা শহর আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরে পরিণত হয়েছে মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হয়।

প্রকাশিত সংবাদ নজরে এলে আদালতের নির্দেশনা ও বাস্তবায়ন চেয়ে একটি আবেদন করা হয়। শুনানিতে আদালত বর্তমানের বায়ুদূষণের পরিস্থিতি এবং বর্তমান অবস্থা নিয়ে উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। এছাড়া শুনানি শেষে আদালত আদেশ দেন যে, আগামী সাত দিনের মধ্যে বিবাদীরা বায়ুদূষণ বন্ধের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ব্যবস্থা নেবেন এবং নয় দফা নির্দেশনা বাস্তবায়িত করে আগামী ২৬শে জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

ওআ/কেবি

হাইকোর্ট

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250