শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৪ঠা আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রাফিক সমস্যা ও চাঁদাবাজি বন্ধে ডিএমপিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশনা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৯ অপরাহ্ন, ১৯শে সেপ্টেম্বর ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ট্রাফিক সমস্যা সমাধান ও চাঁদাবাজি বন্ধসহ ঢাকা মহানগর পুলিশকে (ডিএমপি) একগুচ্ছ নির্দেশনা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল  (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৯শে সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদর দপ্তরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।

এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, তাদের মনকে উজ্জীবিত করে কীভাবে তাদের পুরোনো গৌরব ফিরে পায় এজন্য আলোচনা হয়েছে। জনবান্ধব পুলিশ যেন বাস্তবে হয়। এটা যেন কোনো কাগজ-কলমে না থাকে সেই সম্পর্কে তাদের বলেছি।

থানা পর্যায়ে লোকজন অনেক সময় বিভিন্ন কাজের জন্য গিয়ে তাদের সমস্যা সমাধান করতে পারে না। সবসময় সমাধান সম্ভবও নয়। কিন্তু তারপরও তাদের যেন একটা প্যাসেন্ট হিয়ারিং দেওয়া হয়। তাদের কাজগুলি কীভাবে সমাধান করা যায় এটা বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, ট্রাফিকে যে একটা সমস্যা হচ্ছে, এই ট্রাফিকটা কীভাবে উন্নত করা যায় এক্ষেত্রে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজি কীভাবে বন্ধ করা যায় এই সস্পর্কে বলা হয়েছে। চাঁদাবাজিটা যদি বন্ধ হয় জিনিসপত্রের দাম একটু সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে। এছাড়া ঘুস এবং দুর্নীতিতে আমাদের সমাজটাকে গ্রাস করে নিচ্ছে। এটাকে কীভাবে বন্ধ করা যায় এগুলি সমন্ধে তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

মূলত আলোচনা হয়েছে পুলিশ যেন তাড়াতাড়ি পুরোনো ফর্মে ফিরে যেতে পারে তা নিয়ে। তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে। জনগণের একটা আশা, তারা যেন জনবান্ধব পুলিশ হতে পারে।

জনবান্ধব পুলিশের কথা বলা হলেও পুরাতন ফরম্যাটে নামে-বেনামে মামলা করে হয়রানির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে পুলিশ কিন্তু মামলা দিত, এই সময়ে কোনো পুলিশ একটা মামলা দিয়েছে? আগে পুলিশ ১০ জনের নাম দিয়ে ১০০ জনের নাম দিত অজ্ঞাত। কিন্তু এখন পুলিশ মামলা দিচ্ছে না, এটা সাধারণ পাবলিকরা দিচ্ছে। যদি পুলিশ একটা এমন মামলা দেয় আপনি আমার কাছে আনেন, যে ১০ জনের নাম দিয়ে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত করে দেওয়া হয়েছে। এখন যারা মামলা দিচ্ছে, এটাতো সাধারণ জনগণ।

তিনি আরও বলেন, আপনাদের কাছে আমার অনুরোধ, শুধু যারা দোষী তাদেরই নাম দেন। অন্য কাউকে নাম দিয়েন না। অন্য নাম দিলে এটা তদন্ত করতে সময়ও বেশি যাচ্ছে। অনেক সময় নিরীহ লোকও যেন হেনস্তা না হয় এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এজন্য আমরা কিন্তু বলে দিয়েছি যে সাধারণ লোক যেন হেনস্থা না হয়। তদন্ত ছাড়া কাউকেই এরেস্ট করা হবে না। আমি ডিবিকে ইনস্ট্রাকশন দিয়ে দিয়েছি পরিচয় তারা নিজেরা দেবে তারপর ধরবে।

এখানে আমার ধরার কথা শুধু ক্রিমিনালদের। আমি সাধারণ মানুষকে ধরার জন্য বলবো না, ক্রিমিনালদের ধরার জন্য। সাধারণ পাবলিকের যেটা কমফোর্ট হয়, এটার দিকে আমাদের পুলিশ চেষ্টা করবে।

মব জাস্টিসের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এটার ক্ষেত্রে জনসচেতনতাটা একটু বাড়াতে হবে। কাল দেখলাম জাহাঙ্গীর নগরে, তারাতো সবচেয়ে শিক্ষিত। তাদের ক্ষেত্রেতো এই সচেতনতাটা আসতে হবে।

একজন অন্যায় করলে তাকে আইনের হাতে সোপর্দ করেন। কিন্তু আইনতো হাতে তুলে নেওয়ার কারও অধিকার নেই। আইনের হাতে তাকে সোপর্দ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে আপনারাও (সাংবাদিকরা) একটু আমাদের সঙ্গে কাজ করতে পারেন। জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। ইনোসেন্ট লোকের যেন কোনো অবস্থায়ই কোনো হেনস্থা না হয়।

ওআ/ আই.কে.জে/

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

খবরটি শেয়ার করুন