ছবি : সংগৃহীত
জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে কিশোরীদের হিউম্যান পেপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) টিকার বিশেষ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার ঢাকা বাদে বাকি সাত বিভাগে এই টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পঞ্চম থেকে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং স্কুলের বাইরে থাকা ১০ থেকে ১৪ বছরের কিশোরীরা এ টিকা বিনামূল্যে পাবে।
১৮ দিন ধরে চলা এক ডোজের টিকার এই কর্মসূচির আওতায় ৬২ লাখ ১২ হাজার ৫৫৯ কিশোরীকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
সোমবার (২১শে অক্টোবর) ঢাকার কল্যাণপুরে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে এইচপিভি টিকার বিশেষ কর্মসূচির কর্মশালায় টিকাদানের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির সহকারী পরিচালক শাহরিয়ার সাজ্জাদ কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরো পড়ুন : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নতুন মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সুফী জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. নজরুল ইসলাম।
ডা. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, “টিকা নিতে হলে সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির ওয়েবসাইটে https://vaxepi.gov.bd/registration গিয়ে জন্মনিবন্ধন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। যাদের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সনদ নেই, তাদেরও বিশেষভাবে তালিকাভুক্ত করে টিকা দেওয়া হবে। নিবন্ধন কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। রোববার এক দিনে দুই লাখের বেশি কিশোরী নিবন্ধন করেছে।”
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির আওতায় ৭৯ লাখ ৪৭৮ হাজার টিকা মজুত আছে বলে জানান তিনি।
সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির হিসাবে, গত বছর ১৫ লাখ ৮ হাজার ১৮৩ কিশোরীকে এইচপিভি টিকা দেওয়া হয়। তাতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয় ৭৫ শতাংশ। দেশে প্রতি বছর ‘লাখে ১১ জন’ নারী এ ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রতি বছর জরায়ুমুখ ক্যানসারে আক্রান্ত প্রায় ৫ হাজার নারী মারা যান। বাংলাদেশে দেশে নারীরা যত ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হন, তার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ হচ্ছে জরায়ুমুখ ক্যানসার।
এস/ আই.কে.জে/