শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জুলাই সনদে স্বাক্ষর না করার যে ব্যাখ্যা দিল এনসিপি *** হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরলেন খালেদা জিয়া *** স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র থাকছে জুলাই সনদে, স্পষ্ট হলো নোট অব ডিসেন্ট *** আন্দোলনের অগ্রদূতদের অংশগ্রহণ ছাড়া জুলাই সনদ অর্থহীন: মঈন খান *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে নতুন অধ্যায়ের সূচনা: মির্জা ফখরুল *** জুলাই সনদ বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে জাতির সঙ্গে গাদ্দারি হবে: তাহের *** জুলাই যোদ্ধাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল, রাবার বুলেট নিক্ষেপ প্রসঙ্গে যা বললেন সারজিস *** নিহত ফিলিস্তিনিদের দেহ থেকে অঙ্গ চুরি ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর *** খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল: এ জেড এম জাহিদ *** নির্বাচন কীভাবে হবে, তা রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করবেন: প্রধান উপদেষ্টা

জবাবদিহি জরুরি

সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, ২৫শে জুন ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবই ছাপিয়ে শত কোটি টাকা হরিলুট করেছে একটি চক্র। অনিয়ম-কারসাজি করে অতিরিক্ত লোপাট করেছে প্রেস মালিকদের নিয়ে গড়ে ওঠা একটি অসাধু চক্র। তাদের অপকর্মে শিক্ষাবর্ষের পাঁচ মাস পেরোনোর আগেই বেশ কিছু এলাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবই পড়ার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বছরের বাকি সময়গুলোতে এসব বই পড়া অসম্ভব।

দেশের ২৮টি ছাপাখানা চলতি শিক্ষাবর্ষের ১৫ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪২ কপি পাঠ্যবই নিম্নমানের কাগজে ছাপিয়েছে। এগুলোর মধ্যে আগেই নিম্নমানের কাগজে পাঠ্যবই ছাপানোয় সাতটি  প্রতিষ্ঠান কালো তালিকাভুক্ত ছিল। অথচ এবারও তাদের কাজ দেওয়া হয়েছিল। গত ১৮ই জুন এ বিষয়ে এনসিটিবিতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেয় মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান। 

বই ছাপার পর মান যাচাইয়ের জন্য বেসরকারি হাই-টেক সার্ভে অ্যান্ড ইন্সপেকশন সার্ভিস বিডিকে নিয়োগ দেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। মানহীন এসব বইয়ে কাগজের পুরুত্ব (মোটা), ব্রাইটনেস (উজ্জ্বলতা) ও টেকসই ক্ষমতা (বার্স্টিং ফ্যাক্টর) কিছুই ঠিক নেই। সারাদেশের মাঠ পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাব টেস্টের পর এমন প্রতিবেদন তৈরি করেছে ইন্সপেকশন প্রতিষ্ঠান। এবার এসব বই ছাপায় বাজেট ছিল এক হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

সম্প্রতি এনসিটিবি ৩২টি টিম ৬৪ জেলায় পাঠিয়েছিল। টিমগুলো দৈবচয়ন পদ্ধতিতে বই সংগ্রহ করে দেখতে পায় ৩৩ শতাংশ বই নিম্নমানের। ৪০ কোটির মধ্যে ১৩ কোটি বইয়ের মান খুবই খারাপ। এসব বইয়ে জিএসএম, ঔজ্জ্বল্য ও বাঁধাই ঠিক নেই।

নিম্নমানের কাগজে ছাপা অনুজ্জ্বল বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের কারণে গত কয়েক বছর ধরে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে এনসিটিবি। বস্তুত মানসম্মত ও নির্ভুল পাঠ্যবই প্রণয়ন যেন এক অসাধ্য বিষয়েই পরিণত হয়েছে। দুঃখজনক হলো, এত আলোচনা-সমালোচনার পরও এনসিটিবি ন্যূনতম মানসম্পন্ন পাঠ্যবই প্রকাশ করতে পারছে না।

মানহীন বই ছাপানোর কাজে একটি বড় সিন্ডিকেট কাজ করেছে। একশ্রেণির অসাধু কর্মকর্তার  যোগসাজশে চক্রটি মোটা অংকের টাকা লুটপাট করে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সাথে যারা এমন প্রতারণা করেছেন, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া হোক।

আমাদের বক্তব্য হলো, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের হাতে যেভাবেই হোক, মানসম্মত ও ত্রুটিমুক্ত পাঠ্যবই তুলে দিতে হবে। এনসিটিবি কর্তৃপক্ষ কেন এ বিষয়ে বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। পরিবর্তিত বিশ্বে বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়াতেও যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে।

পাঠ্যবই

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250