ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
আর কয়েক দিন পরেই ঈদুল ফিতর। শুরু হয়েছে ঈদের ছুটি। আজ শুক্রবার (২৮শে মার্চ) থেকে ৫ই এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৯ দিনের ছুটি কাটাবেন সরকারি চাকরিজীবীরা। এতে প্রিয়জনের কাছে যেতে শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরছেন নগরবাসী।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭শে মার্চ) শেষ কর্মদিবসে বিকেলের পর থেকে রাজধানী ছাড়তে বাস ও ট্রেন স্টেশনে ঘরমুখী মানুষের ঢল নেমেছে। তবে লঞ্চে যাত্রীদের চাপ নেই। মহাসড়কে বড় যানজট না হলেও, রাজধানী থেকে বের হতে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
আজ বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। কাউন্টারের সামনে ও ট্রেন স্টেশনগুলোতে অপেক্ষমাণ মানুষের ভিড় ছিল। রাজধানী ছাড়তে ঝক্কি-ঝামেলা থাকলেও ঈদের আনন্দে বাড়ি ফেরা মানুষদের মুখে ছিল আনন্দের ছাপ।
আজ কমলাপুর থেকে প্রায় ৬৭টি ট্রেন বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৪৩টি আন্তনগর, ২৪টি মেইল কমিউটার। এসব ট্রেনের সঙ্গে দুটি বিশেষ ট্রেনও যুক্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে ট্রেনে প্রতিদিন ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করছে রেল।
রেলস্টেশন ঘুরে আরও দেখা যায়, যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করেছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। তিন স্তরের চেকিং শেষে যাত্রীকে স্টেশনের মধ্যে ঢুকতে হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে স্টেশনে ঢুকতে দেওয়া হয় না।
সার্বিক বিষয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে স্টেশন ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন সুখবর ডটকমকে বলেন, ‘আজকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। টিকিট ছাড়া কোনো যাত্রীকে স্টেশনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। বিকেলের পরে যাত্রীদের চাপ বাড়লেও কেউ যেন ট্রেনের ছাদে উঠতে না পারেন, সে বিষয়েও নজর রাখা হবে। বেশির ভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে। আশা করি, যাত্রীদের ভোগান্তি হবে না।’
রাজধানী ছাড়তে বাসের যাত্রীরা গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে ভিড় জমিয়েছেন শুক্রবার। রাজধানী থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট হওয়ার কারণে টার্মিনাল থেকে গাড়িগুলো বের হতে সময় লাগছে। এতে বাসের কাউন্টারে যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে কাঙ্ক্ষিত বাসে ওঠার জন্য।
এদিকে বৃহস্পতিবার (২৭শে মার্চ) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গণি বলেছেন, ‘ঈদে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে না। ঈদ সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক থাকবে। ঈদের ছুটিতে বিপুলসংখ্যক মানুষ ঢাকা থেকে গ্রামে যাবে। তাদের যাত্রাটা আনন্দদায়ক করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। হাইওয়ে পুলিশ খুব সচল রয়েছে।’
প্রতিবছর এ সময়ে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও এ বছর ঢাকা নদীবন্দর সদরঘাট টার্মিনালে নেই সেই চিরচেনা ভিড়। তবে এবার উপচে পড়া ভিড় না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা।
লঞ্চমালিকদের সংগঠন অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল ও যাত্রী পরিবহন (যাপ) সংস্থার সদস্য হামজা লাল শেখ সুখবরকে বলেন, ‘টার্মিনালে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। তবে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আমাদের ১৭৫টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যাত্রীদের উপস্থিতির ওপর নির্ভর করে বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করা হবে।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন