সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুক্তির পর নাবিকদের ঘরে আনন্দের বন্যা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৯ পূর্বাহ্ন, ১৪ই এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি (সংগৃহীত)

৫২ বছর বয়সী শাকেরা খাতুন। দীর্ঘ একমাস অস্ত্রের মুখে জিম্মি থাকার পর তার ছেলে মুক্তি পেয়েছেন। আর তখন থেকেই আনন্দে কান্না করছেন শাকেরা খাতুন।

এতোদিন নানা আশঙ্কায় থাকলেও এখন ছেলেকে ফিরে পাওয়ার প্রহর গুনছেন। সোমালি জলদস্যুর কবলে পড়েছিল শাকেরা খাতুনের ছেলে মো. শামসুদ্দিনসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক। শামসুদ্দিন ওই জাহাজের ওয়েলার পদে কর্মরত।

শনিবার (১৩ই এপ্রিল) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টায় মুক্তিপণের ডলার ভর্তি ৩টি ব্যাগ জলদস্যুদের হাতে পৌঁছালে নাবিকসহ জাহাজটি মুক্ত করা হয়। মুক্ত হয়ে মধ্যরাতে ২৩ নাবিককে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় এমভি আবদুল্লাহ। এরপর ২৩ নাবিক দুবাই থেকে প্লেনে দেশে ফিরবেন। সেখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে তারা ফিরবেন স্বজনদের কাছে।

আরো পড়ুন: মুক্তি পেয়ে ২৩ নাবিক যেভাবে দেশে ফিরছেন

রোববার (১৪ই এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় শাকেরা খাতুনের সঙ্গে কথা বলেন গণমাধ্যমের সাথে। ওই সময় ছেলে মুক্তির অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। 

শামসুদ্দিনের বোন জামাই বদরুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। তারা এখন দুবাইয়ের পথে। দুবাই পৌঁছাতে আরও পাঁচদিন লাগবে বলে জানিয়েছে শামসুদ্দিন।’

একই জাহাজে জিম্মি ছিলেন চট্টগ্রামে আনোয়ার বাসিন্দা হোসেন মো. সাজ্জাদ। সাজ্জাদের ভাই মো. মোশাররফ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘রোববার (১৪ই এপ্রিল) ভোরে আম্মার সঙ্গে কথা বলেছে আমার ভাই (নাবিক সাজ্জাদ)। তারা এখন মুক্ত। সবাইকে দুবাই আনা হচ্ছে।’

‘আমি শুনেছি দুবাই আসার পর নতুন নাবিকেরা জাহাজের দায়িত্ব নেবে। জিম্মি ২৩ নাবিক সেখান থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন। সে (নাবিক সাজ্জাদ) আম্মাকে বলেছে, জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএমের জন্য দোয়া করতে।’

১২ই মার্চ দুপুরে কেএসআরএমের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের জাহাজটি জিম্মি করে সোমালিয়ান দস্যুরা। সেখানে থাকা ২৩ নাবিককে একটি কেবিনে আটকে রাখা হয়। আটকের পর জাহাজটিকে সোমালিয়ার উপকূলে নিয়ে যাওয়া হয়।

এইচআ/  আই.কে.জে

এমভি আব্দুল্লাহ জিম্মি মুক্তি

খবরটি শেয়ার করুন