ছবি: সংগৃহীত
কোটাবিরোধী আন্দোলনে গত ১৮ই জুলাই থেকে সারা দেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিলো। বুধবার (২৪শে জুলাই) স্বল্প পরিসরে ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। তবে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা এখনো ব্যাহত আছে। এতে করে অনেকেই চিন্তায় পড়ে গেছেন। বিভিন্ন কারণে মাসব্যাপী ইন্টারনেট ক্রয় করেছিলেন অনেকেই। ইন্টারনেটের মেয়াদ চলে গেলেও গ্রাহকরা ইন্টারনেট সেবা নিতে পারেননি। তাদের ব্যবহার না করা ইন্টারনেট আবার ফিরে পাবেন কিনা সে সম্পর্কে অনেকেই চিন্তিত।
বিটিআরসির দিকে তাকিয়ে অপারেটরগুলো
রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, গত কয়েকদিন ইন্টারনেট বন্ধ রয়েছে। বিশেষ একটা অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে ইন্টারনেটে শাটডাউনটা হয়েছে। তার মধ্যেও সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যতটুকু সাধ্য সব করেছি। এখন আমরা যেটা ভাবছি, তা হলো গ্রাহকের যে ক্ষতিটা হয়েছে, তা কীভাবে পূরণ করা যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমাদের গার্ডিয়ান (অভিভাবক) টেলিকম রেগুলেটরির (বিটিআরসি) সঙ্গে কথা চলছে। এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সেখান থেকে কোনো নির্দেশনা এলে, তখন আমরা হয়তো স্পষ্ট করে গ্রাহককে এ নিয়ে জানাতে পারবো। ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
কবে নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে এবং গ্রাহকরা জানতে পারবেন, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সাহেদ আলম বলেন, সেটা নেটওয়ার্ক (মোবাইল ইন্টারনেট) না খোলা পর্যন্ত বলা যাচ্ছে না। আগে ইন্টারনেট চালু হোক, তারপর জানানো হবে।
আরো পড়ুন : ‘মোবাইল ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার’
গ্রাহক স্বার্থ বিবেচনায় নিয়েই সিদ্ধান্ত
অব্যবহৃত ডাটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গ্রাহকদের স্বার্থের বিষয়টি সবার আগে গুরুত্ব পাবে এমনটি উল্লেখ করে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এ নিয়ে আলোচনা চলছে। অপারেটরগুলোকে একসঙ্গে ডেকে বৈঠকও করা হবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (২৬শে জুলাই) বিটিআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বিটিআরসি সব সময় গ্রাহকদের স্বার্থে কাজ করে থাকে। এক্ষেত্রেও (অব্যবহৃত ডাটা) আমরা গ্রাহকদের স্বার্থ বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবো। মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এ নিয়ে খুব শিগগির নির্দেশনা দেওয়া হবে।
এস/কেবি