ছবি : সংগৃহীত
প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোনের গুরুত্ব কোনোভাবেই ছোট করা সম্ভব নয়, কিন্তু দাম্পত্য জীবনের বড় শত্রু এই মোবাইল ফোন! সম্পর্কের উষ্ণতা ধরে রাখতে কিছু কিছু বিষয়ে সচেতন হতে হবে আপনাকেও। জানেন সেগুলো কী? অশান্তি এড়াতে ও সম্পর্কে আগের মতো উষ্ণতা ফেরাতে ফোনকে নয়, সময় দিন সঙ্গীকে।
কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন
সম্পর্ক মানেই তো সঙ্গীর সুখে-দুঃখে একে অপরের পাশে থাকা। তবে অনেক সময়েই আমরা সঙ্গীকে ধন্যবাদ জানাই না। প্রিয়জনকে কথায় কথায় ধন্যবাদ জানানোর দরকার নেই। তবে মাঝেমধ্যে এই শব্দটি সামনের মানুষটির মন ভালো করে দিতে পারে। আপনি যে তার প্রতি কৃতজ্ঞ, সেটা কখনো কখনো ভাষায় প্রকাশ করা জরুরি।
সঙ্গীর জন্য সময় বরাদ্দ রাখুন
এখন আমরা সঙ্গীর থেকে ফোনের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই। অফিস থেকে বাড়ি ফিরেও হাতে সেই ফোন! সম্পর্ক ভাঙার অন্যতম কারণ কিন্তু একে অপরকে সময় না দেওয়া। দৈনন্দিন নানা সূক্ষ্ম বিষয় একে অপরের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া, একে-অপরের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া— এ সবের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে সঙ্গীকে চেনার চাবিকাঠি। তাই দিনের একটা সময় সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন, আর ফোনটাকে সেই সময় সাইলেন্ট মোডে রাখুন।
রোম্যান্স
একে অপরের মনে কী চলছে, তা জানা ভীষণ জরুরি। সঙ্গীর মন ভালো করার পথটাও কিন্তু আপনাকেই খুঁজে বের করতে হবে। ভালোবাসা থাকলেই হলো না। কখনো কখনো ভালোবাসা অনুভব করাতেও হবে। সঙ্গীকে ছোটখোটো সারপ্রাইজ় দেওয়া, সঙ্গীর প্রশংসা করা, মাঝেমধ্যেই দুইজনে কোথাও বেরিয়ে পড়া— জীবনে এই ছোট ছোট বদলগুলো এনেই দেখুন না!
আরো পড়ুন : নিজের মতো করে বাঁচুন
মিলেমিশে কাজ করুন
একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ খুঁজুন। বাড়ির কাজ মিলেমিশে করতে পারেন। দেখবেন সম্পর্কের জটিলতা অনেকটাই কেটেছে। শুধু বাড়ির কাজ নয়, একে অপরের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য একসঙ্গে শরীরচর্চা করতে পারেন, সুইমিং করতে পারেন। সেই সময় না হলে রাতে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। একে অপরের যত কাছাকাছি থাকবেন, ভুল বোঝাবুঝি ততই কমবে।
পুরোনো বিবাদ ভুলে যাওয়া
পুরোনো কোনো সমস্যা বা বিবাদকে ঝগড়ার মাঝে টেনে আনবেন না। একসঙ্গে থাকতে গেলে কথা কাটাকাটি হবেই। কিন্তু সেই জের সঙ্গে নিয়ে রাতে বিছানায় যাবেন না। যাকে ভালোবাসছেন, তার ছোটখাটো ভুল ক্ষমা করে দিন। বার বার অতীতের বিবাদের প্রসঙ্গ টেনে আনলে কখনই সুখী হবে না দাম্পত্য।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন