শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২১শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া: পুতিন *** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে *** চিকিৎসকেরা নিশ্চিত করলেই খালেদা জিয়াকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হবে: মির্জা ফখরুল

নিজের মতো করে বাঁচুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০৬ অপরাহ্ন, ৩০শে এপ্রিল ২০২৪

#

নিজের মতো করে বাঁচুন। ছবি : সুখবর

যান্ত্রিক জীবনের অন্যতম লক্ষ্যই যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিযোগিতা। সব দিক থেকেই যেন নিজেকে সেরা দেখতে চাওয়াই এখন মূল লক্ষ্য। কিন্তু সবক্ষেত্রে এই প্রতিযোগিতা আমাদের মাঝে তৈরি করে দিচ্ছে এক ধরনের হতাশা এবং একাকিত্ব। তবে তার মাঝেও নিজের মতো করে বাঁচুন।

হতাশা ও একাকিত্বের রং বিশ্বায়ন ও শহরায়নের কঠিন জীবনে কেউ হচ্ছে জয়ী আর কাউকে হতে হচ্ছে পরাজিত। জয়ীরা ওই জীবনে মানিয়ে নিলেও পরাজিতরা ভেঙে পড়েন চরম হতাশায়। অকারণে নিজেকে ছোট ভাবতে শুরু করেন। ফলে একসময় চরম হীনমন্যতায় ভুগে আত্মবিশ্বাস এসে দাঁড়ায় শূন্যের কোটায়।  

আবার শুধু কাজের ব্যস্ততাই নয়। আধুনিক জীবনে আনন্দ বিনোদনের অভাব, অর্থনৈতিক দৈন্য, বেকারত্ব, প্রেমহীনতা মানুষের মাঝে তৈরি করে দিচ্ছে একাকিত্ব।

ফলে দিনদিন জীবনের স্বাভাবিক হারানো এইসব মানুষ হয়ে পড়ছেন রোগাক্রান্ত আবার অনেকে মাদকাসক্ত। কিন্তু এ বিষয়টি সম্পূর্ণ মানসিক হওয়ায় আক্রান্তরা অনেক সময় এর সম্পর্কে ঠিক মতো বুঝেও উঠতে পারেন না।      

হতাশার পরিণতি সবসময়ই নেতিবাচক। হতাশা মানুষের জীবনে শুধু কষ্টই ডেকে আনে, কোনো সাফল্য নয়। কিন্তু কীভাবে এই রোগ ধীরে ধীরে দখল করে নিতে থাকে মানুষের শরীর! 

মন খারাপ বা অতিরিক্ত দুশ্চিন্তায় থাকলে এই স্নায়ুগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে। ফলে এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে অন্য অঙ্গগুলোর ওপর যেমন, শরীর তার স্বাভাবিক কাজের গতি হারায়, ত্বক রুক্ষ হয়ে উঠে এবং বলিরেখা দেখা দেয়। এমনকি চুল পড়াও শুরু হয়।  

এতো গেলো শরীরের বাহ্যিক প্রভাবের কথা। কিন্তু মানসিক হতাশা ও দুশ্চিন্তা শরীরের ভেতরে প্রভাব ফেলে আরও গভীর ভাবে। দেখা গেছে, দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ কমে যায় ফলে এতে রক্ত চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যার অনিবার্য পরিণাম হার্টের অসুখ। এমনকি এ কারণে হার্ট অ্যাটাকও হয়।  

আরো পড়ুন : ছোটরা ভুল করতে করতে শিখবে

আনন্দে থাকুন বিশ্ব বিখ্যাত আমেরিকান মোটিভেটর ও লেখক ডেল কার্নেগি বলেছেন, ‘মানুষের জীবন একটাই। তাই আমাদের উচিত এটিকে সর্বোচ্চভাবে উপভোগ করা। ’কিন্তু সময়ের ক্রমবর্ধমান চাপ ও বিশ্বায়নের এই যাতাকল থেকে বাঁচা সত্যিই সহজ নয়।  

তবে এর জন্য বেশ কিছু পদ্ধতি আপনি অবলম্বন করতে পারেন। মনোবিজ্ঞানীরা যেটিকে বলেন সেলফ মোটিভেশন। প্রতিদিন নিয়ম করে ঘুম, কাজ, চিত্ত বিনোদন ও প্রিয়জনের সান্নিধ্যে থেকে এই হতাশা ও দুশ্চিন্তা থেকে বেশ খানিকটা দূরে থাকতে পারেন।

জীবনকে নতুন করে ভাবতে শুরু করুন। বিপদে মনোবল না হারিয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে কাজের শপথ নিন। কখনোই নিজেকে ছোট ভাববেন না। চলার পথে মানুষের জীবনে দুঃখ কষ্ট আসবেই। সেগুলোকে অতিক্রম করার সাহস রাখুন।  

মানুষ যে কখন কিসে সুখী হয় তা বলা মুশকিল। তবে যিনি নিজেকে সুখী ভাবেন আসলে সেই সবচেয়ে সুখী মানুষ।  

এজন্য মনোবিজ্ঞানীরা পরামর্শ দিয়েছেন সবসময় প্রাণ খুলে হাসার। কারণ হাসলে মানুষের মন ভালো হয়। আর বিষণ্নতা পালায় হাজার মাইল দূরে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট প্রাণ খুলে হাসুন।

এছাড়াও আরও কিছু উপায়ে হয়তো আপনি আনন্দে থাকতে পারেন। যেমন- শত ব্যস্ততার মাঝেও অন্তত সপ্তাহের একটি দিন বা একটি ঘণ্টা প্রিয়জনের সঙ্গে কাটান। তাদের নিয়ে বেড়াতে যান কোনো পছন্দের জায়গায়।  

অবসরের সময়গুলোতে পরিবারের সকলকে নিয়ে টিভিতে পছন্দের কোনো অনুষ্ঠানও দেখতে পারেন। রাতে ভালো কোনো গল্পের বইও পড়তে পারেন। সিনেমা হলে গিয়ে স্বপরিবারে বা বন্ধুদের নিয়ে দেখে আসতে পারেন ভালো কোনো চলচ্চিত্র।

অবসরে বাড়ির বারান্দায় বা আঙ্গিনায় বাগানও করা যেতে পারে। অনেকেই আর্থিক বিভিন্ন সমস্যায় ভোগেন। তারা বিপদে কাজে লাগাতে প্রতিদিন অল্প অল্প করে সঞ্চয়ের দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।

হতাশা আর দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে মনে রাখতে হবে আপনি যেমনই হন না কেন আপনার মতো পৃথিবীতে আর দ্বিতীয় কেউ কোথাও নেই। তাই নিজেকে অহেতুক অন্যের চেয়ে ছোট না ভেবে নিজের মতো করে বাঁচুন এবং আনন্দে থাকুন।  

এস/ আই.কে.জে/ 

মনোবিজ্ঞানী একাকিত্ব

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250