ছবি: সংগৃহীত
আর মাত্র কয়েক দিন পরই বাঙালিরা উদযাপন করবে বাংলা নববর্ষ-১৪৩১। এ উপলক্ষে ১৩ নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বুধবার (২৭শে মার্চ) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো:
- দেশব্যাপী বর্ষবরণ অনুষ্ঠান, বৈশাখী মেলা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও আয়োজকরা সমন্বয় করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
- রমনার বটমূল, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সুইপিং, ডগস্কোয়াডসহ বিশেষ নিরাপত্তা নেয়া হবে। এসব অনুষ্ঠানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রয়োজনীয় ফোর্স ও গোয়েন্দা সংস্থার বিশেষ নজরদারি থাকবে।
- বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে ইভটিজিং, ছিনতাই/পকেটমারসহ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট ও গোয়েন্দা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
- বাংলা নববর্ষ উদযাপন নিয়ে ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যারা অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
- নববর্ষে কূটনৈতিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ এলাকা ও স্থাপনায় বিশেষ নিরাপত্তা দেয়া হবে।
- নববর্ষ উদযাপনকালে ঢাকা মহানগরের অনুষ্ঠানে ও সারাদেশে অনুষ্ঠেয় অনুষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অগ্নিনির্বাপক গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সসহ ফায়ার সার্ভিস টিম থাকবে। মেডিকেল টিমও থাকবে।
- বাংলা একাডেমি ও বিসিকের একাডেমি প্রাঙ্গণে নববর্ষের মেলায় প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভুভুজেলা বাঁশি বাজানো যাবে না।
আরো পড়ুন: ঈদে ১১ দিন বন্ধ থাকবে বাল্কহেড, রাতে চলবে না স্পিডবোট
- রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, হাতিরঝিল ও রবীন্দ্র সরোবরসহ দেশের যেকোনো স্থানের অনুষ্ঠান সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে শেষ করতে হবে।
- বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সমন্বয় করে নিরাপত্তা দেবে।
- নববর্ষে দেশের কারাগারে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
- কোনো ধরনের ফানুস বা আতশবাজি ফুটানো যাবে না।
- বাংলা নববর্ষে মাদকের অপব্যবহার রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসি/