ফাইল ছবি (সংগৃহীত)
বুখারী ও ইবনে মাজাহ হাদীসে বর্ণিত আছে, মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, ‘যদি তোমাদের কারো পাত্রে মাছি পতিত হয় সে যেন উক্ত মাছিটিকে ডুবিয়ে দেয়। কেননা তার একটি ডানায় রোগজীবাণু রয়েছে, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ’ (বুখারী)।
জ্ঞান-বিজ্ঞানের অগ্রগতির ধারায় জানা যাচ্ছে যে, মাছি মানুষের শত্রু, এটি রোগজীবাণু বহন করে এবং স্থানান্তরিত করে। মাছির ডানায় রোগজীবাণু রয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই।’
তাই যদি হয় তাহলে কিভাবে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) রোগজীবাণু বহনকারী মাছিকে ডুবিয়ে নেয়ার আদেশ করলেন?
এ বিষয়ে কিং আব্দুল আজীজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডক্টর ওয়াজিহ বায়েশরী এই হাদীসের ভিত্তিতে মাছি নিয়ে কয়েকটি গবেষণা চালান। কিছু পাত্রের মধ্যে কয়েকটি মাছি ধরে নিয়ে জীবাণুমুক্ত টেস্টটিউবের মধ্যে আবদ্ধ করে রাখেন। তারপর নলটি একটি পানির গ্লাসে উপুড় করেন। মাছিগুলো পানিতে পতিত হওয়ার পর সেই পানি থেকে কয়েক ফোঁটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখতে পান অসংখ্য জীবাণু রয়েছে।
তারপর মাছিকে ওই পানিতেই ডুবিয়ে দেন। কয়েক ফোঁটা পানি নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেন, সেই পানিতে আগের মত আর জীবাণু নেই, বরং জীবাণু আগের তুলনায় কম। তারপর আবার ডুবিয়ে দেন। তারপর কয়েক ফোঁটা পানি নিয়ে আবার পরীক্ষা করেন।
এমনিভাবে কয়েকবার পরীক্ষা করে দেখেন, যতবার মাছিকে ডুবিয়ে পরীক্ষা চালিয়েছেন ততই জীবাণু কমেছে অর্থাৎ ডক্টর ওয়াজীহ এটা প্রমাণ করে দেখিয়েছেন, মাছির একটি ডানায় রোগ জীবাণু রয়েছে এবং অপরটিতে রোগনাশক ঔষধ রয়েছে।
সম্প্রতি সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত অষ্টম চিকিৎসা সম্মেলনে কানাডা থেকে দু’টি গবেষণা-রিপোর্ট পাঠিয়েছিল যাতে বর্ণিত ছিল, মাছিতে এমন কোনও বস্তু রয়েছে যা জীবানুকে ধ্বংস করে দেয়। শাইখ মোস্তফা এবং শাইখ খালীল মোল্লা এই বিষয়ে রিসার্চগুলো ধারাবাহিক সংগ্রহের মাধ্যমে একটি বই বের করেছেন যার মূল বিষয় ছিলঃ
‘নিশ্চয়ই মাছির একটি ডানায় রয়েছে রোগ, আর অপরটিতে রয়েছে রোগনাশক ঔষধ’ (বুখারী)।
ওআ/ আই.কে.জে/