ছবি: সংগৃহীত
আজ বিশ্ব মা দিবস। পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন যারা, তাদের মধ্যে অন্যতম দিলারা জামান ও ডলি জহুর। শিল্পীরা বাস্তবেও তাদের মা বলে ডাকেন। তারাও জড়িয়ে গেছেন পর্দার সন্তানের মায়ায়। দু'জনেই দেশে একা থাকেন, আর তাদের সন্তানরা থাকেন প্রবাসে। সন্তানদের সঙ্গে বিদেশে না গিয়ে, পর্দার সন্তানদের মায়ায় তারা রয়ে গেছেন দেশে।
দিলারা জামানের দুই মেয়ে। দু'জনেই থাকেন দেশের বাইরে। পড়ালেখার জন্য দূরদেশে পাড়ি দেওয়া দুই সন্তান পরবর্তী সময়ে সেখানেই গড়েছেন ক্যারিয়ার। মা দিলারাকেও নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের কাছে। তবে শিকড়ের টানে তিনি ফিরে এসেছেন।
সন্তানরা নিয়মিত খোঁজখবর রাখেন, সুযোগ পেলে প্রতিবছর দেশে আসেন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। শুধু নিজের সন্তানরা নন, পর্দার বাইরেও শোবিজের সবাই দিলারা জামানকে মা বলে ডাকেন। মায়ের মতো সম্মান করেন, খোঁজখবর রাখেন।
দিলারা জামান বলেন, ‘আমার দুই মেয়ে দেশের বাইরে থাকে। নিয়মিত তারা আমার খোঁজখবর নেয়। আমি যাদের সঙ্গে কাজ করি, তারাও সবসময় আমার খোঁজখবর নেয়। সবাই মা বলে ডাকে। এদের ছেড়ে আমি থাকতে পারব না।'
তিনি বলেন, 'এ কারণেই দেশে ফিরে এসেছি। এ দেশ ছেড়ে, দেশের মানুষ ছেড়ে আমি থাকতে পারব না। দেশের সহস্র ছেলেমেয়ে আমাকে মা বলে ডাকে। এটাই আমার কাছে আনন্দের। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে!’
পর্দায় মায়ের চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ২০২৩ সালে মা পদকে সম্মানিত করা হয় দিলারা জামানকে। এ বছর এ পদক পাচ্ছেন ডলি জহুর। তিনিও দেশে থাকেন একা। তার একমাত্র সন্তান রিয়াসাত স্থায়ী হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
মাঝে মাঝে ডলি জহুর যেমন ছুটে যান ছেলের কাছে, আবার ছেলেও সময় পেলে আসেন মায়ের কাছে। তবে এ দেশ ও মানুষের ভালোবাসার কারণে বিদেশে স্থায়ী হতে পারেননি। বিশেষ করে পর্দার সন্তানদের মায়া তাকে আটকে রেখেছে।
ডলি জহুর বলেন, ‘সবার ভালোবাসা আছে বলেই তো বিদেশে আমার ছেলে আমাকে ধরে রাখতে পারে না। এখানে একা পড়ে আছি সবার ভালোবাসার টানে। এ যে সবার সঙ্গে দেখা হচ্ছে, খোঁজখবর নিচ্ছে, মা বলে ডাকছে।'
তিনি বলেন, 'আমি যখন করোনায় আক্রান্ত হলাম, সবাই দৌড়ে চলে এল বাসায়, আমাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। একটুও ভয় পেল না কেউ। অনেকেই আমার সেবায় হাসপাতালে থেকে গেল। এ ভালোবাসা বলে বোঝানো যাবে না। ভালোবাসা ব্যাখ্যা করা যায় না, অনুভব করা যায়। আমি এটা সবসময় অনুভব করি।’
এইচ.এস/
খবরটি শেয়ার করুন