ছবি: সংগৃহীত
দক্ষিণাঞ্চলের ইলিশের সবচেয়ে বড় বাজার চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য অবতরণকেন্দ্রে বেড়েছে ইলিশের আমদানি। কিন্তু দাম কমছে না।
এ বাজারে দুই কেজি সাইজের এক হালি ইলিশের দাম ২৮ হাজার টাকা হাঁকিয়েছেন এক মাছ বিক্রেতা।
তার দাবি, মাছগুলো চাঁদপুরের পদ্মা নদীর। যদিও আরেক ব্যবসায়ী বলছেন, দুই কেজি ওজনের এসব মাছ চাঁদপুরের নয়, এগুলো বার্মিজ।
সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে ক্রেতা, ব্যবসায়ী আর শ্রমিকের ভিড়ে পা রাখাই কঠিন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ক্রেতারা আসছেন ইলিশ কিনতে। দাম চড়া দেখে হতাশা প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।
চাঁদপুর বড়স্টেশনের মৎস্য অবতরণকেন্দ্রের অন্যতম মাছ বিক্রেতা হৃদয় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার এখানে দুই কেজি সাইজের ওপরে এমন বড় সাইজের চারটি ইলিশ আছে। সকালে মাছগুলো বাজারে এনেছি। এ চারটি মাছ সাড়ে ৮ কেজি ওজন হবে।’
তিনি এই মাছের প্রতিকেজির দাম হাঁকেন ৩ হাজার ৫০০ টাকা। সে হিসেবে প্রতিটি মাছের দাম পড়বে ৭ হাজার টাকার বেশি। অর্থাৎ এই মাছ বিক্রেতা চারটি ইলিশের দাম হাঁকিয়েছেন ২৮ হাজার টাকা।
এতো দাম চাওয়ার কারণ ব্যাখ্যায় এই বিক্রেতা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এগুলো চাঁদপুরের নদীর অরিজিনাল ইলিশ। মাছগুলো পুরোপুরি ফ্রেশ এবং তাজা। বড় মাছ তাই সামান্য ডিম হবে।’
চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বাজারে এখন ছোট মাছের আমদানি বেশি হচ্ছে। যেগুলো ৪-৫টা মাছে এক কেজি ওজন হয়। এই সাইজের মাছ ৫০০ থেকে সাড়ে ৫০০ টাকা। আর এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৭০০ টাকা দরে।
বাজারে দুই কেজি ওজনের ইলিশ চড়া দাম চাওয়া হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এগুলো বার্মিজ। দুই কেজি ওজনের মাছ এখন আমাদের এখানে নাই। তারা হয়তো মিথ্যা কথা বলছে। চাঁদপুরের নদীতে দেড় কেজি ওজনের মাছ পাওয়াটাই কঠিন। দুই কেজি পাবো কোথায়?’
তিনি বলেন, ‘আগামী মাসে অভিযান শুরু হতে পারে। হয়তো আর দুই সপ্তাহ মাছ ধরার সুযোগ থাকবে। এই সময়ের মধ্যে মাছের আমদানি কতটা হবে তা বলতে পারছি না।’
ওআ/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন