প্রতীকী ছবি (সংগৃহীত)
জন্মতিথি
—শাহিনুর রহমান
ঠিক বাইশ বছর আগে
অবলীলে ঝঞ্ঝামেঘের অগ্রভাগ,
বিজলীর ঝলকানি আর বজ্রের হুংকার,
কোনো এক কাল-তিথিতে তোর জন্ম।
এ পথে শুধু তুই একা নয়,
আমরা সবাই এই পথের পথিক ..
এভাবেই নীরবে সহ্য করেছে প্রসব বেদনা।
অতঃপর শ্রান্ত মুখে উতলে পড়েছে খুশির ঝিলিক।
দশ মাস দশদিন যুদ্ধের পর ঠিক যেন বিজয়ের হাসি।
কোথায় যেন মিলিয়ে গেছে বেদনার সুর যাতনার বাঁশি।
যা কিছু অনিয়ম, যা কিছু অবিচার অন্যায়,
লণ্ডভণ্ড করে দে বিনাশিত ঝড়ের বন্যায়।
দৈত্যের মতো ঘোড়া হাঁকিয়ে বজ্র-নিনাদে,
সমাজ শিকলিত কুসংস্কার ভেঙে-চুরে দে।
ছুড়ে ফেলে দে ভীরুতা কাপুরুষতার স্তূপ
কোলাহল শেষে জীবন যেমন একাকি নিঃশ্চুপ।
এখান থেকে শুরু হবে নতুন সৃষ্টির উন্মাদনা,
নব রঞ্জনে সাজবে আজ পৃথিবীর প্রত্যেকটি কণা।
আবারো বলছি এই পথে তুমি একা না,
চলার পথে জ্বালানি রূপে ক্রিয়ারত
অজস্র মায়ের মৃত্যুজয়ের পাথেয়,
নির্বাক পিতার স্বপ্ন জয়ের অভিপ্রায়,
অনুজ অগ্রজসহ অসংখ্য দোসর,
স্বপ্নিল চোখে পথ চেয়ে আছে তোর।
মরা পাতাগুলো ঝরে যায় এক সময়,
শাখা ভরে সব নতুন পাতার উদয়।
পদাতিক জীবনের এভাবেই ছুটে চলা,
চলতে হবে বহু পথ বহু পর্বতমালা।
এরপর কোনো এক প্রান্ত কালের ক্ষণে,
সকল মায় মিলাতে হবে সায়াহ্নের গহীনে।
এই নব তিথিতে তোর জন্ম,
পৃথিবীর তরে এ এক পরম আনন্দ।
আরো পড়ুন : কবিতা : সবার সবকিছু জানতে নেই —শাহিনুর রহমান