বুধবার, ৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকায় বিরল খনিজ পাঠাল পাকিস্তান *** বাংলাদেশে বাড়ছে পাকিস্তানি শিল্পীদের ব্যস্ততা *** একদিকে সংঘাত বন্ধের জন্য আলোচনা, অন্যদিকে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল *** জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো শিক্ষকদের বেতন-ভাতা চালুর নির্দেশ *** মাদ্রাসা ক্রিকেট চালু করবে বিসিবি *** প্রথমবার ইউনেসকো সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট হলো বাংলাদেশ *** আওয়ামী লীগ ফিরে আসা মানেই অভ্যুত্থান মিথ্যা: সারজিস আলম *** রপ্তানি, রেমিট্যান্স ও রিজার্ভে ভর করে ঘুরে দাঁড়িয়েছে অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক *** তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারে কী কী প্রাপ্তি দেখছেন বিশ্লেষকেরা *** মৃত্যু ছাড়া কিছু উপদেষ্টার কোনো সেফ এক্সিট নেই: সারজিস

নতুন দুই টিভি চ্যানেলের লাইসেন্স পেলেন যারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৩:২৮ অপরাহ্ন, ৭ই অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সরকার যে প্রক্রিয়ায় বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশনের (টিভি) লাইসেন্স দিত, সেই একই প্রক্রিয়ায় নতুন দুটি টিভির অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। চ্যানেল দুটির নাম ‘নেক্সট টিভি’ ও ‘লাইভ টিভি’।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪শে জুন নেক্সট টিভির অনুমোদন দেওয়া হয়। এটি ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের নামে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার করাতিটোলা লেন। ‘৩৬ মিডিয়া লিমিটেড’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন।

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, এই টিভি চ্যানেলের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন বগুড়ার বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এ কে এম হাফিজুর রহমানের ছেলে এ কে এম গোলাম হাসনাইন। তিনি সৌদি আরব প্রবাসী এবং সৌদি আরব (পূর্বাঞ্চল) বিএনপির সভাপতি।

অন্যদিকে, ‘লাইভ টিভি’ অনুমোদন পেয়েছে গত ১৪ই জুলাই। আরিফুর রহমান নামের আরেকজন এই টিভির মালিকানায় রয়েছেন। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘মিনার্ভা মিডিয়া লিমিটেড’। ঠিকানা ১৪৩ নম্বর সড়ক, গুলশান-১। আরিফুর রহমান জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য ছিলেন। তবে এনসিপিতে যোগ দেননি বলে জানা গেছে।

বর্তমানে দেশে অনুমোদিত ৫০টি বেসরকারি টিভি চ্যানেল রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ণ সম্প্রচারে রয়েছে মাত্র ৩৬টি প্রতিষ্ঠান। এ ছাড়া ১৪টি সম্প্রচারের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদিত আইপি টিভি (ইন্টারনেট প্রটোকল টেলিভিশন) রয়েছে ১৫। টিভি চ্যানেলের আরও কিছু আবেদন অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, বাংলাদেশের যেকোনো নাগরিক বেসরকারি স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল অনুমোদনের জন্য আবেদন করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে আবেদনের সঙ্গে বেশ কিছু কাগজপত্র জমা দিতে হয়। এগুলো হলো জাতীয় পরিচয়পত্র, আর্টিকেল অব মেমোরেন্ডাম (প্রতিষ্ঠানের গঠনতন্ত্র), সার্টিফিকেট অব ইনকরপোরেশন, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদ, ব্যাংক সলভেন্সি সনদ, প্রকল্প প্রস্তাব এবং চ্যানেল চালানোর সামর্থ্য আছে মর্মে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকারনামা।

আবেদন করার পর তা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়। বেসরকারি টিভি লাইসেন্স পাওয়ার পর বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছ থেকে ‘ফ্রিকোয়েন্সি ক্লিয়ারেন্স’ নিতে হয়। মূলত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের ‘সবুজ সংকেত’ থাকলেই তরঙ্গ পাওয়া যায়।

টিভি চ্যানেল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250