শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভিটামিন ডি কমে গেলে বুঝবেন কীভাবে?

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ৭ই মে ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

ভিটামিন ডি একটি অপরিহার্য ভিটামিন যা শরীর স্বাভাবিক হাড়ের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যবহার করে। ভিটামিন ডি স্নায়ুতন্ত্র ও পেশী ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একে সানশাইন ভিটামিন বলা হয়। কারণ ত্বক সূর্যালোকের সংস্পর্শে এলে শরীর এটি কোলেস্টেরল থেকে তৈরি করে। তবে ভিটামিন ডি কমে গেলে বুঝবেন কীভাবে? চলুন জানা যাক-

ভিটামিন ডি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ? 

শরীরের সুস্থ থাকার জন্য প্রয়োজনীয় অনেক ভিটামিনের মধ্যে ভিটামিন ডি একটি। এটি রক্ত ও হাড়ের ক্যালসিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং হাড় গঠন ও রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ভিটামিন ডি দরকার যাতে ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস ব্যবহার করে শরীর হাড় তৈরি করতে পারে এবং টিস্যুগুলোকে সুস্থ রাখতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী অথবা গুরুতর ভিটামিন ডি এর অভাবের কারণে অন্ত্র দ্বারা ক্যালসিয়াম এবং ফসফরাস শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়। এতে হাইপোক্যালসেমিয়া (রক্তে কম ক্যালসিয়ামের মাত্রা) বাড়ে। রক্তে ক্যালসিয়ামের মাত্রার ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করার জন্য শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করে, যা হাড়ের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এর ফলে প্রাপ্তবয়স্কদের অস্টিওম্যালাসিয়া (নরম হাড়) এবং শিশুদের রিকেট হতে পারে।

অস্টিওম্যালাসিয়া এবং অস্টিওপোরোসিস হাড় ভাঙার ঝুঁকি বাড়ায়। রিকেট অস্টিওম্যালাসিয়ার মতোই, তবে এটি শুধুমাত্র শিশুদের হয়। 

আরো পড়ুন : দেহে ক্যানসারের কোষ তৈরি হবে না যে ৫ ফলে!

কোন কোন লক্ষণে বুঝবেন ভিটামিন কমে গেছে?

* ভিটামিন ডি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে শরীরের নিজস্ব প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয় ও ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া থেকে আমাদের বাঁচাতে সাহায্য করে। ভিটামিন ডি সরাসরি কোষের সাথে যোগাযোগ করে যেগুলো সংক্রমণ মোকাবেলার জন্য কাজ করে। এই ভিটামিনের অভাব হলে তাই ঘন ঘন অসুস্থ হয়ে পড়ার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। 

* ভিটামিন ডি শরীরকে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সহায়তা করে। ভিটামিনটির অভাবে তাই হাড় এবং পিঠের নিচের ব্যথা হতে পারে। 

* বিভিন্ন কারণে ক্লান্ত লাগতে পারে, যার মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর অভাব। 

* বিষণ্ণতার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হতে পারে ভিটামিন ডি এর অপর্যাপ্ত মাত্রা।

* ভিটামিন ডি যৌগগুলোর উৎপাদন বাড়ায় যা ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নতুন ত্বক গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অপর্যাপ্ত ভিটামিন ডি এর কারণে দেরিতে ক্ষত নিরাময় হতে পারে। 

* ভিটামিন ডি ক্যালসিয়াম শোষণ এবং বিপাক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।  এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ একই সময়ে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম গ্রহণ শরীরকে সর্বাধিক শোষণ করতে সহায়তা করে। হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পাওয়ার মানে হচ্ছে হাড় ক্যালসিয়াম এবং অন্যান্য খনিজ হারিয়েছে। এটি বয়স্ক প্রাপ্তবয়স্কদের, বিশেষ করে নারীদের ফ্র্যাকচারের ঝুঁকিতে রাখে।

* ভিটামিন ডি এর অভাব পেশী ব্যথার কারণ হতে পারে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথায় আক্রান্ত ৭১ শতাংশ লোকের ভিটামিন ডি প্রয়োজনের তুলনায় কম। 

তথ্যসূত্র: ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক ও হেলথলাইন

এস/ আই.কে.জে/ 

স্বাস্থ্য পরামর্শ ভিটামিন ডি

খবরটি শেয়ার করুন