শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

মাছের আঁশ বিক্রি করে স্বাবলম্বী

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫২ অপরাহ্ন, ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

বিভিন্ন বড় আকারের মাছ থেকে আঁশ সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এরপর শুকানো হচ্ছে তপ্ত রোদে ফেলে। আর্দ্রতা কাটিয়ে শুকিয়ে মচমচে হলে মাছের এসব আঁশ প্যাকেটজাত হয়ে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে বিদেশে। ফেলে দেওয়া মাছের আঁশ থেকেই তৈরি হচ্ছে ওষুধ, প্রসাধন সামগ্রীসহ নানা কিছু।

অনেক ক্ষেত্রে মাছের চেয়েও যেন আঁশের দাম বেশি। প্রতি কেজি মাছের আঁশ রপ্তানিকারী বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি হয় ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। মাছ কাটার পর ফেলে দেওয়া এসব আঁশ বিক্রি করে এখন স্বাবলম্বী অসংখ্য পরিবার। 

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছ আসে রাজধানীর কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়িসহ বিভিন্ন মাছের আড়তে। পাইকারি দামে মাছ কিনতে অনেকেই ভিড় করেন এসব বাজারে। পছন্দমতো মাছ কিনে কাটিয়ে নিয়ে যান বাড়িতে। বাজারের বিক্রি করা বড় রুই, কাতলা, কোরালসহ নানা মাছের আঁশ সংগ্রহ করে রাখেন মাছ কাটা শ্রমিকরা। এরপর পরিছন্নতাকর্মী কিংবা নিজেরাই সংরক্ষণ করেন এসব মাছের আঁশ।

আরো পড়ুন : বেড়েছে রপ্তানি আয়

পরিত্যাক্ত এসব মাছের আঁশ বাজার থেকে সংগ্রহ করার পর প্রথমে ধুয়ে পরিস্কার করা হয়। এরপর প্লাস্টিক সিট অথবা পরিস্কার কোনো পাত্রে আঁশগুলো মেলে দিয়ে রোদে শুকানো হয়।

একজন আঁশ বিক্রেতা বলেন, ‘মাছের আঁশ সংগ্রহ করি, তারপর ময়লা বাইছা ফালাই, এরপর রোদে লাইড়া শুকাই। রোদ থাকলে ১ দিন লাগে, রোদ না থাকলে ২ দিন লেগে যায় শুকাতে।’

মাছ কাটা শ্রমিকরা সারাদিন বাজারে মাছ কাটার কাজ করলেও আঁশ সংগ্রহকারীরা সকাল ৬টা থেকে ৭টার মধ্যেই কাজ শেষ করেন। বড় বড় রেস্টুরেন্ট, মেছ কিংবা বিয়ের আয়োজনের জন্য একসঙ্গে অনেক মাছ ক্রয় করেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। সেই সব মাছ থেকেই অল্প সময়ে অনেক আঁশ সংগ্রহ করা যায়। বড় সাইজের মাছের আঁশ কাজে লাগলেও ছোট সাইজের মাছের আঁশ ফেলে দেওয়া হয়। প্রতি ২০ কেজি মাছ কাটলে পাওয়া যায় ৫ কেজির মতো আঁশ।

নিজেরা মাছ কেটে আঁশ সংগ্রহের পাশাপাশি মাসিক চুক্তিতে মাছ কাটা শ্রমিকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয় মাছের আঁশ। শুঁকানোর পরে এসব মাছের আঁশগুলো বস্তাভর্তি করে রেখে দেওয়া হয় একমাসের বেশি সময়। এরপর বিদেশে রপ্তানির জন্য বাড়ি থেকে ক্রয় করে নিয়ে যায় বিভিন্ন কোম্পানি।

রাজধানীর কাওরান বাজার এলাকায় প্রায় ২০টি পরিবার জড়িত এই মাছের আঁশের ভিন্নধর্মী ব্যবসায়।

আঁশ বিক্রেতা আরো জানান, ‘আমার চার ছেলেমেয়ে, মেয়ের জামাই, এছাড়া আমরা ২ জন, মোট ৭ জনের পরিবার। খাইয়া লইয়া মাসে ১০ হাজারের বেশি থাকে। আগে এই এলাকায় আমরা ৫০/৬০ জন এই কাম করতাম। তবে এহন সরকারি জায়গা থেইকা উঠাইটা দেওয়ার পর ২০ জনের মতো আছি।’

এস/ আই. কে. জে/ 

স্বাবলম্বী মাছের আঁশ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন