ছবি: সংগৃহীত
চলচ্চিত্রে নারীর ভূমিকা নিয়ে দুই দিনব্যাপী ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্স’ শুরু হয়েছে। রোববার (২১শে জানুয়ারি) সকাল দশটায় ঢাকা ক্লাবের স্যামসন লাউঞ্জে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই কনফারেন্স মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কিশওয়ার কামালের সভাপতিত্বে এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল।
শনিবার ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ স্লোগানে পর্দা উঠেছে ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রেইনবো চলচ্চিত্র সংসদ আয়োজিত এই উৎসবের পর্দা নামবে আগামী ২৮শে জানুয়ারি।
জানা গেছে, এই উৎসবে ১০টি বিভাগে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। যেখানে ৯দিনের এই চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হবে ৭৫টি দেশের প্রায় আড়াইশো চলচ্চিত্র।
মূলত, এই চলচ্চিত্র উৎসবের অংশ হিসেবেই ‘দশম আন্তর্জাতিক উইমেন ফিল্মমেকার্স কনফারেন্স’ শুরু হয়েছে। এতে দেশি-বিদেশি নারী চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সঙ্গে বাংলাদেশের নারী নির্মাতারা মতবিনিময়ের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
আয়োজকরা বলছেন, সাংস্কৃতিক শিল্পের একটি প্রধান উপাদান হিসেবে সিনেমা উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে। এটি এমন একটি প্রভাবশালী মাধ্যম যা সামাজিক পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক মূল্যবোধকে প্রতিফলিত করে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নারীর গ্ল্যামারাইজেশনকেই মূলধারার সিনেমার প্রধান্য দেওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। তবে অনেক দেশেই এমন চলচ্চিত্র নির্মাতা আছেন যারা নারীর সম্ভাবনাকে চিত্রিত করেছে।
তারা বলছেন, নারীভিত্তিক চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু আরও আলোচনার পাশাপাশি তাদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া প্রয়োজন। সেজন্যই এমন আয়োজন করা হয়েছে।
আয়োজকরা প্রত্যাশা করেন, নারীভিত্তিক সিনেমার মান ও বিষয়বস্তু উন্নত করা, আগ্রহীদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করার ক্ষেত্রে এই কনফারেন্স ভূমিকা পালন করবে। একইসঙ্গে পারস্পরিক ধারণার বিনিময় এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে নারীরা সিনেমা তৈরিতে আরো ব্যাপকভাবে জড়িত হতে পারবেন বলেও প্রত্যাশা করেন তারা।
আরো পড়ুন: এবার বিশ্বজয়ের পথে কিং খান
প্রসঙ্গত, ৯ দিনব্যাপী চলা এই উৎসব চলাকালে দেশি-বিদেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তন ও কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তন, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা, নৃত্যশালা মিলনায়তন, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে। এসব মিলনায়তনের সব প্রদর্শনী সবাই বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারবেন।
এসি/ আই. কে. জে/