রবিবার, ১৯শে অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

রোজার বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে

উপ-সম্পাদকীয়

🕒 প্রকাশ: ০৬:০৩ অপরাহ্ন, ৫ই মার্চ ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেসব পণ্যের দাম হুহু করে বাড়ছে। রোজার শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের বাজার গরম হয়ে উঠছে। ইতোমধ্যে ইফতারে বেশি ব্যবহৃত লেবু, বেগুন, শসা, বিভিন্ন ফল ও মাংসের দাম বেড়েছে।

কয়েক মাস ধরে চলা ভোজ্যতেলের সংকট আরো তীব্র হয়েছে। দোকানে পর্যাপ্ত সয়াবিন তেল মিলছে না। হঠাৎ বোতলজাত সয়াবিন তেল উধাও। রাজধানীর অধিকাংশ বাজারেই এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। অথচ ভোজ্যতেল গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার বেশি আমদানি হয়েছে। 

তারপরও রোজার আগেই বাজার থেকে উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল। পরিস্থিতি এমন যে, কোথাও ঘুরেও মিলছে না বোতলজাত তেল। পাড়া-মহল্লার মুদি দোকানেও নেই। ব্যবসায়ীরা তেল লুকিয়ে রেখে সংকট তৈরি করছেন। ভোক্তা অধিকার সরেজমিন বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে এমন চিত্র পেয়েছে।

রমজান উপলক্ষে প্রতিটি নিত্যপণ্যের দোকানের সামনে ব্যাপক ভিড় রয়েছে, ক্রেতারা দরদাম করে পণ্য কিনছেন। এক হালি এলাচি লেবু ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাগজি লেবু ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ইফতারির অন্যতম উপকরণ শসা। যা বাজারে এখন ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও ছিল ৫০ টাকা কেজি।

এদিকে বেগুনের দাম বেড়েছে। বেড়েছে ব্রয়লার মুরগি ও গরুর মাংসের দাম। কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংসের দামও কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। মাছের দামও কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ ফল। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।

নিত্যপণ্যের মধ্যে চাল ও ডালের দাম আগে থেকেই চড়া। তবে চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, আলু ও আটার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। বিশেষ করে, মৌসুমের কারণে পেঁয়াজ ও আলুর দাম অনেকটাই কম। চিনির সরবরাহ ভালো থাকার কারণে এবার তেমন একটা দাম বাড়েনি।

নিত্যপণ্যের লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের অবস্থা খুবই সঙ্কটাপন্ন। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াই করে মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির শিকার প্রধানত কৃষক, শ্রমিক ও পেশাজীবীসহ নির্দিষ্ট আয়ের মানুষেরা। সব মিলিয়ে মধ্যম ও নিম্ন আয়ের মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে অধিকাংশ মানুষ পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকার তাগিদে জীবনযাত্রার ব্যয় সংকুচিত করতে বাধ্য হচ্ছেন। 

রমজান এলেই দেশের একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী মুনাফার পাহাড় গড়েন। বছরজুড়ে তারা এই মাসটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। এসব ব্যবসায়ী নীতি-আদর্শ, মানবতা ও ধর্মীয় বিধিবিধানের ধার ধারেন না, থোড়াই কেয়ার করে চলেছেন।

তাদের কাছে মুনাফাটাই সবকিছুর ঊর্ধ্বে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে মুনাফা অর্জন করাটাই মূখ্য উদ্দেশ্য। অথচ আরব বিশ্বসহ অনেক দেশে  এই সিয়াম সাধনার রমজান মাসে পণ্যমূল্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকে। কোথাও কোথাও পণ্যমূল্যের উপর বিশেষ ছাড়ও দেওয়া হয়।

কিন্তু বাংলাদেশে ঘটে তার উল্টোটা। রমজানকে উদ্দেশ্য করে বেশি মুনাফা লাভের আশায় ব্যবসায়ীরা মজুতদারি করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেন। পবিত্র রমজানে রোজাদাররা যাতে নির্বিঘ্নে সিয়াম সাধনা করতে পারেন, সে লক্ষ্যে বাজার মূল্য সহনীয় পর্যায়ে হওয়া জরুরি। সেজন্য সরকারকে কঠোর হস্তে বাজার নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির ব্যবস্থা করতে হবে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে জনগণকে স্বস্তি দিতে হবে।

এইচ.এস/


দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250