শনিবার, ১৮ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
৩রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** নাশকতার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পেলে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে: সরকারের বিবৃতি *** তারেক রহমানের বিবিসির সাক্ষাৎকারে ৮০ ভাগ নেটিজেনের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া *** ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তপশিল: সিইসি *** ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এনসিপি *** চীন সরকারের ব্যাপক শুদ্ধি অভিযান, শীর্ষস্থানীয় ৯ জেনারেল বরখাস্ত *** ঢাকামুখী ৮ ফ্লাইট গেল চট্টগ্রাম ও কলকাতায় *** জুলাই সনদে কাল স্বাক্ষর করবে গণফোরাম *** যারা বলেন এবার ‘জামায়াতের শাসন দেখি’, তাদের উদ্দেশ্যে যা বললেন আনু মুহাম্মদ *** ‘রক্ত দিতে হলে সামনের সারিতে, ক্ষমতার প্রশ্নে খুঁজে পাওয়া যাবে না’ *** ‘দোসর’ বলার জন্য বিএনপির সালাহউদ্দিনকে ক্ষমা চাইতে হবে: নাহিদ

ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে বেকারত্ব দূর

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, ৩০শে জানুয়ারী ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তরুণ কৃষক মো. রেজাউল ভার্মি কম্পোস্ট সার (কেচো সার) উৎপাদন করে এখন সফল ও স্বাবলম্বী। তিনি নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া এলাকার বাসিন্দা।

উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন তরুণ এ উদ্যোক্তা।

কৃষক মো. রেজাউল বলেন, ‘নলছিটি কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ২০২০ সালে এসএসিপি প্রকল্পের একটি প্রদর্শনী দিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি। সেই সময় ৬০০ টাকা প্রথম বিক্রি করি। এরপর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। 

বর্তমানে প্রতি মণ সার ৫০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি করি। কৃষিকাজে এ সার ব্যবহার করে বেশি ফসলও পাচ্ছি। যে কারণে আমি স্বাবলম্বী হতে পেরেছি।’

সার উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘গ্রাম থেকে গোবর সংগ্রহ করে ২০-২৫ দিন এক স্থানে রেখে পরে হাউজ ও চাড়িতে দেওয়া হয়। এরপর কেঁচো ছেড়ে দিতে হয়। এই গোবর কেঁচো বেশি খায়, তাই সারও বেশি হয়।’

উপজেলা কৃষি অফিসার সানজিদ আরা শাওন বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে চাড়ির সংখ্যা বাড়াচ্ছেন কৃষক রেজাউল। তার চাড়ির সংখ্যা প্রায় ২০টি। সেখানে প্রায় পঞ্চাশটি চাড়ির গোবর রাখা যায়। পাশাপাশি তিনি কেঁচো সরবরাহ করেন।’

তিনি বলেন, ‘তার দেখাদেখি এখন গ্রামের অনেকেই এ সার উৎপাদন ও ব্যবহার করছেন। গ্রামটিকে ‘ভার্মি গ্রাম’ নামকরণ করেছি। আগামীতেও কার্যক্রম চলমান থাকবে। এ ধরনের উদ্যোক্ত্যাদের সার কৃষি অফিস কিনছে।’

আরো পড়ুন: কমলো কৃষকের খেলাপি ঋণ

ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘এই সার উৎপাদন ও ব্যবহারকারীদের উৎসাহিত করতে উৎপাদনকারীদের কাছ থেকে কেঁচো সার কেনা হয়। বিভিন্ন প্রদর্শনীতে বিনা মূল্যে কৃষকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘রেজাউলের দেখাদেখি এখন টুলু বেগম, জামাল, রায়হান, রশিদ রাড়ি, মুরাদ হোসেন, কালামসহ প্রায় ৩০টি পরিবার মডেল ভার্মি কম্পোস্ট সার (কেঁচো সার) উৎপাদন করে নিজের জমিতে ব্যবহার করছেন। এছাড়া এ সার কৃষকের কাছ থেকে সারের দোকান ও কৃষি অফিস কিনে থাকে।’

এসি/ আই.কে.জে




বেকারত্ব ভার্মি কম্পোস্ট

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250