রবিবার, ৯ই নভেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৫শে কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** জীবনের ‘শেষ নির্বাচন’ উল্লেখ করে যে বার্তা মির্জা ফখরুলের *** চলতি সপ্তাহে দাম না কমলে পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন *** পদত্যাগ করবেন উপদেষ্টা আসিফ, ঢাকা থেকেই নির্বাচনের ঘোষণা *** পুলিশের উদ্যোগে ঢাকা কলেজ ও আইডিয়াল শিক্ষার্থীদের ‘শান্তিচুক্তি’ *** নতুন বেতনকাঠামোর সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচিত সরকার: অর্থ উপদেষ্টা *** ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ *** ঢাকা-১৭ আসনে লড়বেন প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের ছেলে *** রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ইসির সংলাপ ১৩ই নভেম্বর থেকে *** স্বাস্থ্য উপদেষ্টার সাবেক দুই ব্যক্তিগত কর্মকর্তার সম্পদের হিসাব চাইল দুদক *** অনুষ্ঠানের মাঝেই ‘ঘুমিয়ে’ পড়লেন ট্রাম্প, সামাজিক মাধ্যমে ছবি ভাইরাল

লাভজনক হওয়ায় নীলফামারীতে বাড়ছে চিনাবাদাম চাষ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৫৫ অপরাহ্ন, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

কম ঝুঁকি, ব্যাপক চাহিদা ও বাজারে বাদামের ভালো দাম পাওয়ায় গতবারের তুলনায় চলতি মৌসুমে নীলফামারীতে বেড়েছে বাদামের চাষ। কম খরচে বাদাম চাষ লাভজনক হওয়ায় দিন দিন বাদাম চাষাবাদে আগ্রাহী হচ্ছেন কৃষকেরা।

জানা গেছে, গত বছরের তুলনায় এবার বেশি জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বেলে দো-আঁশ মাটিতে বাদামের চাষ ভালো হয়। অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদাম চাষে তেমন শ্রম দিতে হয় না। এছাড়া অন্যান্য ফসলের তুলনায় বাদামে রোগবালাই কম থাকায় কীটনাশক প্রয়োগের ঝামেলা কম। ফলন ভালো হতে মাঝে মধ্যে কয়েকবার ছত্রাকনাশক স্প্রে করলেই ফসল ভালো হয়। বাজারে বাদামের ভালো দাম থাকায় গত কয়েক বছর ধরে বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন এখানকার চাষিরা।

নীলফামারী জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এবার নীলফামারী জেলায় ৬টি উপজেলার ১ হাজার ২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জেলায় উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৩৭৭ মেট্রিক টন।

কৃষি বিভাগ জানায়, বাদাম চাষের জন্য উপযোগী জেলার খালিচা চাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী, বালাপাড়া, ঝাড়সিংশ্বর চর, তিস্তার চর, চিলমারীর ডাঙ্গা, বড় রাউতা, চিলাই, জলদান পাড়া, বগুড়ার ডাঙ্গা ও ভোগডাবুড়ীসহ অনেক এলাকায় বাদাম চাষ হয়।

ডোমার চিকনমাটি এলাকার বাদাম চাষি আনোয়ারুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আগে পাট চাষ করতাম। এখন বাদাম চাষ করি। ২০ বছর থেকে বাদাম চাষ করি। প্রতি বিঘা ১৪-১৮ হাজার টাকা খরচ পড়ে। বাজারে তা বিক্রি করি ৪০-৫০ হাজার টাকা। বাদাম চাষাবাদে খরচ কম।’

তিনি আরো বলেন, ‘এ বছর ২ বিঘা জমিতে বাদামের চাষ করেছি। প্রতি বিঘায় ২০ কেজি বীজ লাগাতে হয়। প্রতি কেজি বীজ ২০০ টাকা করে। প্রতি বিঘায় ১০-১৪ মণ ফলন হয়ে থাকে। ফাগুন মাসে বীজ বপনের পর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষদিকে বাদাম জমি থেকে সংগ্রহ শুরু করবো।’

চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের বাদাম চাষি রুবেল ইসলাম বলেন, ‘বাদাম মাটিতে রোপণের আগে জমি ভালো করে চাষ করতে হয়। জমিতে ৩-৪টি চাষ দিতে হয়। কারণ মাটি নরম থাকলে বাদাম আকারে বড় হয়। বাদাম ঘরে তোলা পর্যন্ত ২-৩ বার জমিতে স্প্রে করতে হয়। প্রতি স্প্রেতে বিঘায় খরচ হয় ২০০ টাকা করে। প্রতি বিঘায় দুইবার সার দিতে হয়। পটাশ ও ঢেপ সার ২০ কেজি করে দিতে হয় বিঘাপ্রতি।’

আরো পড়ুন: শ্যামনগরে তরমুজের বাম্পার ফলন

খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চর কিসামতের কৃষক আরিফ হোসেন বলেন, ‘বাদাম চাষ করতে তেমন খরচ করতে হয় না। পরিশ্রমও কম করতে হয়। তাই এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো ফলনের আশা করছি। বাজারদর ভালো পেলে লাভবান হতে পারবো।’

ডোমার সদর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা কনেশ্বর রায় বলেন, ‘এলাকায় কম খরচে উচ্চ ফলনশীল চিনাবাদাম উৎপাদনের জন্য আমরা প্রতিনিয়ত পরামর্শ দিচ্ছি। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চিনাবাদামকে মুক্ত রাখতেও পরিমিত পরিমাণ ওষুধ প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে থাকি।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘চিনাবাদাম একটি লাভজনক ফসল। তাই কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিতে উপজেলা কৃষি উপসহকারী অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

এসি/ আই.কে.জে/ 

চিনাবাদাম চাষ লাভজনক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250