শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২২শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, দাফন দিল্লিতে: সালাহউদ্দিন আহমদ *** ভারতকে ‘নিরবচ্ছিন্নভাবে’ জ্বালানি তেল সরবরাহ করবে রাশিয়া: পুতিন *** আড়াই ঘন্টা বাইরে থেকে খাঁচায় ফিরল সিংহী ডেইজি *** ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি *** খালেদা জিয়ার জন্য জার্মানি থেকে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স পাঠাচ্ছে কাতার *** প্রধান উপদেষ্টা ও আইন উপদেষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা মাহফুজ আনামের *** প্রসাধনী শিল্পে ব্যবহৃত তেলের জন্য হাঙর শিকার, বিলুপ্তি ঠেকাতে বৈশ্বিক উদ্যোগ *** শেখ হাসিনাকে ফেরতের ব্যাপারে এখনো ইতিবাচক সাড়া দেয়নি ভারত: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা *** ‘তারেক রহমান যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান উপদেষ্টা বানাতে পারতেন’ *** শারীরিক অবস্থা ঠিক থাকলে রোববার খালেদা জিয়াকে লন্ডনে নেওয়া হবে

সূর্যমুখী চাষে কৃষকের সফলতার গল্প

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৩ অপরাহ্ন, ৮ই মার্চ ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

খাগড়াছড়ির রামগড়ের মাটি ও আবহাওয়া সূর্যমুখী চাষের জন্য বেশ উপযোগী। রামগড় কৃষি অফিসের সহায়তায় নাকাপা, দাতারাম পাড়া, লাচারীপাড়া ও ফেনীরকুল চরসহ বিভিন্ন স্থানে ২০ জন কৃষক প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় প্রথমবারের মতো সূর্যমুখী চাষ করে সফল হয়েছেন।

রামগড়ে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে সূর্যমুখী চাষ হচ্ছে। সাধারণ কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করতে পরীক্ষামূলকভাবে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ২০ বিঘা জমিতে এ ফসলের চাষ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে তেল শোধনের ব্যবস্থা করা গেলে সূর্যমুখী চাষাবাদে কৃষকেরা আরও উৎসাহী হবেন।

সূর্যমুখী চাষে খরচ কম লাভ বেশি। ৩ থেকে সাড়ে ৩ মাসের মধ্যে ফলন ঘরে তোলা যায়। বিঘাপ্রতি ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। খরচ শেষে ৩০ হাজার টাকা লাভ হয়। খরচের তুলনায় লাভ ও সময় কম লাগার কারণে আগামীতে অনেক কৃষক সূর্যমুখী চাষে ঝুঁকবেন বলে মনে করেন এ কৃষক।

আরো পড়ুন: হলুদ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন পাহাড়ের চাষিরা

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাশেদ চৌধুরী বলেন, ‘পুষ্টি চাহিদা পূরণে দেশে সূর্যমুখী চাষ করা গেলে আমদানি করা লাগবে না। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বীজ বপন করা হয়। বীজ বপনের ৯০-১০০ দিনের মধ্যে ফসল তোলা যায়। সামান্য রাসায়নিক সার ও দুবার সেচ দিলেই হয়। প্রতি বিঘা জমিতে গড়ে ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হয়। এর কাণ্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার ও খৈল গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।’

রামগড় পাহাড়াঞ্চল কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. এস এম ফয়সাল বলেন, ‘রান্নার জন্য সয়াবিন তেলের চেয়ে সূর্যমুখীর তেল দশগুণ বেশি পুষ্টিসমৃদ্ধ। এটি মানবদেহের মহৌষধ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।’

এসি/ আই.কে.জে

কৃষক সূর্যমুখী চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250