ছবি : সংগৃহীত
ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে কাশ্মির এক অন্যরকম আবেগের নাম। পৃথিবীর ভূস্বর্গ হিসেবে পরিচিত ভারতের এই স্থানটি ভ্রমণের স্বপ্ন কে না দেখেন। রাজনৈতিক পরিস্থিতি, একেক সময় একেক আবহাওয়া হওয়ায় অনেকে যেতে চাইলেও যাননি। তবুও অত্যন্ত সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে সাজানো এই স্থানটি ভ্রমণের স্বপ্ন দেখেন অনেকে।
প্রাচীন স্থাপত্য, কার্পেট, পশমিনার কাজ, সুগন্ধি মশলা, আখরোট, কাঠের ওপর সূক্ষ্ম জালির কাজ, কাঠের শিকারা, হাউজবোট এবং জিভে জল আনা কাশ্মীরি রোগান জোস, পোলাও, কেশর—কী নেই কাশ্মিরে। সামনে এই স্থানটি ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? জেনে নিন কোন সময়ে কাশ্মির ভ্রমণে গেলে সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন?
কাশ্মিরের তাপমাত্রা বছরের কখন কেমন থাকে?
বসন্ত কাল অর্থাৎ মার্চ আর এপ্রিল মাসে কাশ্মীরের তাপমাত্রা থাকে ৮ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। অন্যদিকে গরমকাল অর্থাৎ মে থেকে আগস্ট মাসে এখানকার তাপমাত্রা হয় ১২ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরো পড়ুন :সময় ও খরচ কমলো সেন্টমার্টিন ভ্রমণে
সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে কাশ্মিরের তাপমাত্রা থাকে ৯ থেকে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর কনকনে ঠান্ডায় এখানকার তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের নীচে। আপনি যদি কাশ্মিরে গিয়ে তুষারপাতের অভিজ্ঞতা নিতে চান তাহলে শীতের সময়ই যাওয়া ভালো।
এশিয়ার বৃহত্তম টিউলিপ বাগান রয়েছে কাশ্মিরে। মার্চ থেকে এপ্রিল মাসে ‘ইন্দিরা গান্ধী মেমোরিয়াল গার্ডেন’-এ টিউলিপ উৎসব চলে। এই সময় গেলে বাগান ভর্তি লাল, হলুদ, সাদা, বেগুনি রঙের হাজার হাজার টিউলিপ দেখতে পাবেন।
কতদিনের ট্যুরে কাশ্মির যাবেন?
সঠিকভাবে পরিকল্পনা করলে মোটামুটি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই কাশ্মীরের দর্শনীয় স্থানগুলো ঘুরে দেখা সম্ভব। বিমানে শ্রীনগর পৌঁছলে হাতে অনেকটা সময় পাওয়া যাবে। প্রথম ৩ দিনে কাশ্মিরের বিখ্যাত কাওয়া চা খেতে খেতে ভেসে যেতে পারেন ডাল লেকের জলে। ভাসমান বাজার, মোগল আমলে তৈরি শালিমার বাগ ঘুরে দেখে নিন। চাইলে এক রাত কাটাতে পারেন হাউজবোটে।
পরের দুদিন ঘুরে নিন পহেলগাঁও। বরফাবৃত পিরপঞ্জলের শৃঙ্গে সূর্যোদয় দেখার অভিজ্ঞতা ভুলতে পারবেন না। এখানেই আছে বিখ্যাত বেতাব এবং অরু ভ্যালি। পরের কটাদিন রাখুন গুলমার্গ ঘুরে দেখার জন্য। এই স্থানে বরফের ওপর নানা রকম ‘অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস’-এর রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা হবে।
তাহলে আর কী, সময় ঠিক করে বেরিয়ে পড়ুন কাশ্মিরের রূপ উপভোগ করতে।
এস/ আই.কে.জে/
খবরটি শেয়ার করুন