ছবি : সংগৃহীত
অগ্রহায়ণেই শীত জেঁকে বসেছে পঞ্চগড়ে। সকালে ঘন কুয়াশা না থাকলেও অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে উত্তরের এ জেলায়। সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় উত্তর জনপদের মানুষ কাঁপছেন হাড়কাপানো শীতে।
সোমবার (২রা ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে জেলার প্রথম শ্রেণির তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কার্যালয়। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল (১লা ডিসেম্বর) রেকর্ড হয়েছিল ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল বেলা কুয়াশাহীন ভোরে ঝলমলে রোদ নিয়ে জেগে উঠেছে রক্তিম সূর্য। রোদ থাকলেও কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে শীত উপেক্ষা করেই ভ্যান চালক, দিনমজুর, পাথর ও চা শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কাজে যেতে দেখা গেছে। কাজ করতে দেখা গেছে ক্ষেতখামারে।
আশরাফুল ইসলাম, আরশেদ আলী ও জাহেরুলসহ কয়েকজন স্থানীয় অধিবাসী গণমাধ্যমকে বলেন, কনকনে শীত। সারারাত বেশ ঠান্ডা। মনে হয় পৌষ মাসের ঠান্ডা। সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে আসা হিমেল বাতাসে ঠান্ডা বাড়তে থাকে। শরীরে শীতের পোশাক পরতে হচ্ছে। রাত থেকে সকাল পর্যন্ত খুবই ঠান্ডা। এখনই লেপ নিতে হচ্ছে। মনে হচ্ছে সামনে তাপমাত্রা জিরোতে নেমে আসে কী না। তবে সকাল ১০টার পর ঠান্ডা উধাও হয়ে যায়। দুই রকম আবহাওয়ার কারণে প্রায় ঘরে ঘরে সর্দিকাশির প্রকোপ বেড়েছে।
আরো পড়ুন : ডিসেম্বরে শীতের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড়ের আভাস, আসতে পারে ২টি শৈত্যপ্রবাহ
গৃহিণীরা জানান, ঠান্ডার কারণে রাত থেকে ভোর পর্যন্ত ঘরের আসবাবপত্রসহ ফ্লোর বরফ হয়ে উঠে। কাজকাম করতে অসুবিধা হয়ে যায়। এখনই এতো ঠান্ডা, সামনে তো কঠিন ঠান্ডা আসছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য এই ঠান্ডা অনেকটা কষ্টকর হয়ে উঠেছে।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ গণমাধ্যমকে জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ঘরে। আজ সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রোববার (১লা ডিসেম্বর) ৯টায় ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এখন দিন যত যাবে তাপমাত্রা আরও কমতে থাকবে।
এস/ আই.কে.জে/