ছবি: সংগৃহীত
মেট্রোরেলের আয় বাড়াতে ২০২৪- ২৫ অর্থবছর থেকে মেট্রোরেলের যাত্রীসেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট যুক্ত করতে চায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে মেট্রোকে সব শ্রেণির মানুষের যান উল্লেখ করে ভ্যাট অব্যাহতি চায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী সব ধরনের করছাড় হ্রাস করার নির্দেশনা রয়েছে। সেই লক্ষ্যে এবার মেট্রোরেলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা প্রত্যাহার চায় এনবিআর। ফলে এই গণপরিবহনটির ভাড়া বাড়তে পারে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২০২৫) বাজেট ঘোষণার পর অর্থাৎ আগামী জুলাই মাস থেকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপ করা হতে পারে। ৩০শে জুন পর্যন্ত মেট্রোর ভাড়ার ওপর ভ্যাট মওকুফ রয়েছে। এই মওকুফ সুবিধা আর অব্যাহত রাখতে আগ্রহী নয় এনবিআর।
আরো পড়ুন: যে কোনো মূল্যে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি দেখতে চাই : সাদ্দাম
জানা গেছে, ভ্যাট বসানো নিয়ে এখন আলোচনা চলছে। ঈদের পর আবারও দুইপক্ষ আলোচনায় বসবে। সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন এনবিআর চেয়ারম্যান।
ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যে কোনো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান রয়েছে। মেট্রোরেল যেহেতু পুরোপুরি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গণপরিবহন, তাই মেট্রোর ভাড়াতেও ভ্যাট আরোপ হওয়ার কথা।
তবে মেট্রো কর্তৃপক্ষের যুক্তি, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের আইন আছে। কিন্তু ওইসব ট্রেনে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শ্রেণি ছাড়াও সাধারণ শ্রেণি আছে। টিকিটধারী যাত্রীরা তাদের শ্রেণি পছন্দ করার সুযোগ পান।
অন্যদিকে ঢাকার মেট্রোর পুরোটাই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। সেখানে সব যাত্রীর একই টিকিট কাটতে হয়। এছাড়া মেট্রোরেল এখন পুরোপুরি গণপরিবহন, যেখানে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ভ্রমণ করেন।
জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাট আরোপ নিয়ে এনবিআর ও মেট্রোরেল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে নতুন করে একটি বৈঠক হয়। সেখানে এনবিআরের প্রস্তাব নাকচ করেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। পরে মেট্রো কর্তৃপক্ষ টিকিটের ওপর ভ্যাট না বসানোর যুক্তি দেখিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যানকে চিঠিও দেয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২২শে জানুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কমিশনার শওকত আলী সাদী মেট্রোতে ভ্যাট আরোপের আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল) চিঠি দেন। পরে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিক বৈঠকও হয়। তবে ভ্যাট আরোপ থেকে এনবিআর শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসে।
এইচআ/