বৃহস্পতিবার, ৯ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাজশাহীতে আ.লীগ নেতার তিন ছেলে-মেয়ের জামিন *** খাগড়াছড়িতে ধর্ষণ ও হামলার ঘটনায় আজ তথ্যানুসন্ধান দল পাঠাচ্ছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি *** শ্রমবাজার সম্প্রসারণে ভিসা জটিলতা দূর করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার *** ৭ বছর পর জিয়াউর রহমানের সমাধির পাশে খালেদা জিয়া *** একাধিক দেশের পাসপোর্টধারী ও নাগরিক বলে কাকে ইঙ্গিত করলেন উপদেষ্টা *** তেজগাঁওয়ে হোলি রোজারি চার্চের সামনে বুধবার যা ঘটল *** ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান বন্ধের চেষ্টা, পুলিশের হস্তক্ষেপ *** দুদকের মামলার আসামি হওয়ার একদিন পর ট্রাইব্যুনালের ‘বিচারক’ *** ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের বক্তব্য ‘অযৌক্তিক’: তৌহিদ হোসেন *** ১৫–১৮ই নভেম্বরের মধ্যে গণভোট সম্ভব, হিসাব দিলেন জামায়াত নেতা তাহের

মাত্র ছয় মাসে কোরআনের হাফেজ হলো ১০ বছরের এমদাদ

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৭ অপরাহ্ন, ৩রা অক্টোবর ২০২৪

#

ছবি : সংগৃহীত

মাত্র ছয় মাসে পবিত্র কোরআনের হাফেজ হয়েছে নোয়াখালীর সুবর্ণচরের  ১০ বছরের মো. এমদাদুল ইসলাম। দ্রুত সময়ে ৩০ পারা কোরআন হেফজ করায় আনন্দিত এমদাদের পরিবার ও শিক্ষকরা।

মো. এমদাদুল ইসলাম সুবর্ণচর উপজেলার থানারহাট এলাকার ব্যবসায়ী মো. এরশাদুল উদ্দিনের ছেলে। সে উপজেলার তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র।

জানা গেছে, ব্যবসায়ী এরশাদুল উদ্দিনের দুই ছেলে এক মেয়ে। সাড়ে ৫ বছর বয়সে স্থানীয় মাদরাসায় নুরানি শাখায় মো. এমদাদুল ইসলামকে ভর্তি করান তিনি। তার দাদির স্বপ্ন ছিল এমদাদকে হাফেজ বানাবেন। এরপর তিন বছর নুরানি পড়ে এমদাদ। ২০২৪ সালে সে তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর ৩ মাস নাজরানা বিভাগে পড়ার পর কোরআন সবক নেয় এমদাদুল ইসলাম। এরপর মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কোরআন হেফজ (মুখস্থ) করে সে।

এমদাদুল গণমাধ্যমকে বলে, আলহামদুলিল্লাহ! আমার কাছে খুব ভালো লাগছে। আমার ওস্তাদরা আমাকে অনেক বেশি সহায়তা করেছেন। ওস্তাদদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রথম ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে সহজ করে দিয়েছেন। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন ভবিষ্যতে বড় একজন দ্বিনের দায়ী হতে পারি।

আরো পড়ুন : মৌলভীবাজারে সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়

এমদাদের সহপাঠী মো. তাসকিন বলে, আমার বন্ধু এমদাদ মাত্র ছয় মাসে হেফজ শেষ করেছে এ জন্য আমরা খুব আনন্দিত। তার মাধ্যমে আমাদের মাদরাসার নাম উজ্জ্বল হয়েছে। আমরা দোয়া করি যেন এমন আরও অনেকেই হাফেজ হতে পারে। আল্লাহ যেন সবাইকে কবুল করেন।

এমদাদুল ইসলামের বাবা এরশাদুল বলেন, কোরআনের হাফেজ হয়ে এমদাদ আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার দাদির ইচ্ছা ছিল তাকে হাফেজ বানানো। সে তার দাদির স্বপ্ন পূরণ করেছে। তার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে কবুল করে।

হেফজ বিভাগের শিক্ষক মো. আবু ইউসুফ বলেন, এমদাদুল এক প্রতিভাবান ছাত্র। ২০২৪ সালের শুরুতে সে আমাদের মাদরাসায় ভর্তি হয়। তারপর তিন মাস নাজেরা পড়ে। এরপর ছয় মাসেই সে পুরো ৩০ পারা কোরআন আয়ত্ত করতে পেরেছে। আলহামদুলিল্লাহ। কখনো ৫ পৃষ্ঠা, কখনো ৮ পৃষ্ঠা আবার কখনো ১০ পৃষ্ঠা সবক সে দিয়েছে। আমরা আশা করছি এ প্রতিভা কাজে লাগিয়ে সে একদিন বড় আলেম হবে।

তামীরুল উম্মাহ হিফজুল কুরআন মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মো. নাছরুল্লাহ বলেন, মাত্র ৬ মাসে আল্লাহর কালাম মুখস্থ করা সৌভাগ্যের বিষয়। আল্লাহ এমদাদুলকে সেই মেধা দিয়েছেন। সে জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। এটি আমাদের জন্য গর্বের। তাকে দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও ব্যাপক উৎসাহ পাচ্ছে। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠানের সাফল্য এবং এমদাদুলের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করছি। সে যেন আন্তর্জাতিকভাবে দেশের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারে সেই দোয়া করি।

এস/কেবি


কুরআনের হাফেজ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250