ছবি: সংগৃহীত
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৪শে অক্টোবর) বন ভবনে 'নদীর প্রাণ ডলফিন-শুশুক, নিরাপদে বেঁচে থাকুক’ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে এক বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বন কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। তিনি এসময় ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে জানান। উপদেষ্টা বলেন, দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো বন বিভাগের প্রধান দায়িত্ব। গাছ কাটার বিরুদ্ধে যথাসময়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বনরক্ষীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের নদী ও জলাশয়ে মিঠাপানির ডলফিনের উপস্থিতি আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। ডলফিন টিকিয়ে রাখতে নদী ও জলাশয়ের দূষণ রোধ এবং পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডলফিন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন: সচিবালয়ের ঘটনায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. জিলুর রহমান।
বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. মনিরুল এইচ. খান, উপপ্রধান বন সংরক্ষক ও সুফলের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তরা ডলফিন রক্ষায় সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে সাইটিস সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। তিনি এসময় ডলফিন ডলফিন জরিপের ফলাফল ঘোষণা করেন। এই সমীক্ষার ফলে প্রায় ৬৩৬টি দল বা ১ হাজার ৩৫২টি গাঙ্গেয় ডলফিনের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ডলফিনের প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসি/কেবি
খবরটি শেয়ার করুন