ছবি : সংগৃহীত
বছর ঘুরে এসেছে পবিত্র রমজান মাস। প্রতিটি ধর্মপ্রাণ মুসলমান এ মাসে রোজা রাখেন। তবে দীর্ঘ সময় পানি পান না করায় এবং ইফতারে পরিমাণমত পানি পান না করায় অনেকেই পানিশূন্যতাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় আক্রান্ত হন।
এছাড়া উত্তপ্ত দিনের বেলাতে রোজা রাখতে গিয়ে পানিশূন্যতায় ভোগার শঙ্কা থাকে বেশি। তাই পানিশূন্যতা এড়ানোর জন্য নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন।
পানিশূন্যতা হলে শরীরে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। যেমন- অতিরিক্ত মুখ বা ত্বক শুকিয়ে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি। এর থেকে তৈরি হয় নানা জটিলতা। আসুন জেনে নিই রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে যা করবেন:
আরো পড়ুন : ইফতারে ডাবের পানি পানে মিলবে যেসব উপকার
১. ইফতার এবং সেহরির মধ্যে অন্তত দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন। ঠাণ্ডা পানির পরিবর্তে হালকা গরম পানি পান করা ভালো, কারণ এটি শরীর দ্বারা দ্রুত শোষিত হয়। প্রতিবেলা খাওয়ার ১০ মিনিট আগে ও পরে পানি পান করুন। খাওয়ার মাঝে পানি পান না করাই ভালো। এছাড়াও একবারে বেশি পানি পান না করাই ভালো।
২. রোজায় খাদ্য তালিকায় সহজপাচ্য খাবার রাখুন। তেলেভাজা বা মসলাযুক্ত খাবার শরীরকে আরও পানিশূন্য করে তোলে। এ ছাড়া সালাদ ও তরকারিতে লবণ কম দেয়া উচিত। বেশি পরিমাণে লবণ খেলে বাড়তে পারে তৃষ্ণা।
৩. রোজায় পানিশূন্যতা এড়াতে খাবার তালিকায় প্রতিদিন স্যুপ রাখতে পারেন। এতে শরীরে তরলের চাহিদা পূরণ হবে।
৪. টমেটো, শসা, তরমুজ, আঙুরের মতো ফল এবং সবজিতে বেশি পরিমাণ পানি থাকে, যা তৃষ্ণা কমাতে সাহায্য করে।
৫. গবেষণায় দেখা গেছে, মিষ্টিজাতীয় খাবারে তৃষ্ণা বাড়ে। রমজানে মিষ্টিজাতীয় খাবারের পরিবর্তে ফল খেতে পারেন, যা দেহে তরলের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি তৃষ্ণাও মেটাতে সাহায্য করবে।
৬. ক্যাফেইন শরীরের তরল শুষে নিয়ে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে রমজানে ক্যাফেইনযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। এ ধরনের পানীয়র মধ্যে এনার্জি ও কার্বনযুক্ত পানীয়, চা ও কফি রয়েছে। ধূমপান মুখকে শুষ্ক করে তোলে, এতে তৃষ্ণা বাড়ায়। এ কারণে রমজানে ধূমপান এড়িয়ে চলুন।
৭. গরমের দিনে সূর্যতাপে ব্যায়াম করলে পানি পানের চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এ কারণে রমজানে ইফতারের পর ব্যায়াম করা ভালো। কারণ ইফতারের মধ্য দিয়ে শরীর পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানীয়র মাধ্যমে শক্তি পায়।
এস/ আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন