অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন—এমন গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল কিছুদিন আগে। এমনকি অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও বর্তমানে নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও এ কথা জানিয়েছিলেন।
ড. ইউনূসের পদত্যাগের বিষয়ে তার কাছে জানতে চেয়েছিল জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া। জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, যেহেতু তিনি এ বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো কথা বলেননি, তাই বিদেশে বিষয়টি নিয়ে কথা বললে তার জন্য তা ‘বিপদ তৈরি করতে পারে’।
নিক্কেইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহে খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে, ড. ইউনূস এক ছাত্রনেতাকে বলেছিলেন—যদি দলগুলো সংস্কার ও নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে একমত না হয়, তবে তিনি পদত্যাগ করতে পারেন। তিনি এমন মনোভাব প্রকাশ করেছেন কী না—জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি বাংলাদেশেও এ প্রশ্নের উত্তর দিইনি। যেহেতু আমি বাংলাদেশে এটি বলিনি, যদি আমি জাপানে বলি, তাহলে আমার জন্য অনেক সমস্যা তৈরি হবে।’
জাপান সফররত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশটির সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও জানান, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের ভেতরেও ১১-১২ বিলিয়ন ডলারের অর্থ ইতিমধ্যে চিহ্নিত এবং সংযুক্ত (এবং) জব্দ করা হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার একবার এ বিলিয়ন ডলারের অর্থ হাতে পেলে দুটি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনা করেছে। এ তহবিলগুলো শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার জন্য ব্যয় করা হবে এবং দরিদ্রদের জীবন ‘রূপান্তর’ ও তরুণদের উদ্যোক্তা হতে সাহায্য করতে ব্যবহৃত হবে।
এইচ.এস/