শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মেয়েকে আন্দোলনে যেতে বলেছিলেন মাশরাফি

স্পোর্টস ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:৩৫ অপরাহ্ন, ১৫ই আগস্ট ২০২৪

#

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশে যে কয়েকজন পরিচিত মুখ রয়েছেন এবং যাদের কথায় তরুণ প্রজন্ম দারুণভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন, তাদের মধ্যে মাশরাফি বিন মর্তুজা অন্যতম। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সরব ছিলেন দেশের বেশির ভাগ তারকাই। তবে নীরব ভূমিকা ছিল মাশরাফির। যা নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সসস্য হওয়ায় আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে পারেননি বলে দাবি মাশরাফির। তবে নিজের মেয়েকে এই আন্দোলনে যুক্ত হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন তিনি।

মাশরাফির বড় মেয়ে হুমায়রা স্কুল পড়ুয়া। এই আন্দোলনের মূল ভিত্তি যেহেতু ছিল শিক্ষার্থীরা তাই হুমায়রাকে এই আন্দোলনে অংশ নিতে বলেছিলেন মাশরাফি। এমনকি হুমায়রা আন্দোলনের পক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু স্ট্যাটাসও দিয়েছিল বলে জানান মাশরাফি।

দেশের একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আজ তিনি বলেন, 'আমার মেয়ে হুমায়রা ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করে। আমার সেখানে অ্যাকাউন্ট থাকলেও সেভাবে দেখতাম না, ওকেও ফলো করতাম না। আমাকে আমার এক ছোট ভাই জানাল যে, হুমায়রা ইনস্টাগ্রামে অনেক কিছু দিচ্ছে বা শেয়ার করছে। ১৭ই জুলাই থেকেই দিচ্ছে।'

'আমি ওকে জিজ্ঞেস করলাম। ও বলল, ‘হ্যাঁ, আমি এসব দিচ্ছি। তোমার কি আপত্তি আছে?’ আমি বললাম, ‘না, আমার সমস্যা নেই।’ আমি বরং ওকে এটাও বলেছি, ‘তোমার স্কুল থেকে বা বন্ধুরা আন্দোলনে গেলে তুমিও সঙ্গে থেকো।’ আমার পদের জন্য বা চেয়ারের জন্য তাকে বাধা পেতে হবে, এটা কখনও চাইনি।'-যোগ করেন তিনি।

আরও পড়ুন: পাল্টে গেল বাংলাদেশ–ভারত টি–টোয়েন্টি ম্যাচের ভেন্যু

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলন অবশ্যই যৌক্তিক ছিল। আমার নিজের কাছেও মনে হচ্ছিল, এটা হয়ে যাবে। তবে সবাই যখন চাচ্ছিল যে আমি কিছু একটা বলি বা স্ট্যাটাস দিই (ফেসবুকে)…ততক্ষণে আসলে সব কিছু এত দ্রুত হচ্ছিল…ভাবছিলাম যে আমি যদি কিছু লিখি বা মন্তব্য করি, সেটার সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে…অনেক কিছু ভাবছিলাম আর কী…সব মিলিয়ে কিছু লেখা হয়নি।’

এই আন্দোলনের পক্ষে কথা বলতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের কাছেও প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে মাশরাফিকে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'শুধু আমি নই, আমার মনে হয়, এই আন্দোলন নিয়ে যারা কিছু লিখতে বা করতে পারেনি, তাদের সবাইকেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নিজের পরিবার, বন্ধু-বান্ধব বা ঘনিষ্ঠজনদের কাছে।'

'স্ত্রী-সন্তানদের কাছেও জবাবদিহিতা করতে হয়েছে, কেন কিছু লিখতে পারিনি। শুধু পরিবার নয়, বন্ধু-বান্ধব, আশেপাশের সবাই জিজ্ঞেস করেছে। আমি আমার অবস্থান বলেছি। কেউ একমত হয়েছে, কেউ হয়নি। তবে মেয়ের কাছে অন্তত এটুকু জায়গা আমার আছে যে, বাবা তাকে আটকায়নি।'-যোগ করেন তিনি।

এসি/ আই.কে.জে/

শিক্ষার্থী মাশরাফি

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন