ছবি : সংগৃহীত
সবার একটিই চিন্তা সংসারের খরচ দিনকে দিন বেড়েই চলছে। একইসঙ্গে বাড়ছে রান্নার গ্যাসের দাম। তাই গরুর মাংস, পায়েস কিংবা হালুয়া বানাতে গিয়ে অনেক গৃহিণীই এখন দিশেহারা হয়ে যান। গ্যাসের খরচ কমাতে অনেকেই এখন ভরসা রাখছেন ইলেকট্রিক গ্যাজেটে।
এই যেমন খাবার গরম করেন মাইক্রোওয়েভে। চা বানান ইলেকট্রিক কেটলিতে। মাঝেমধ্যে রান্নাও সারেন ইনডাকশন কুক টপে। কিন্তু এতে কি আদৌ লাভ হচ্ছে? গ্যাসের খরচ কমলেও বাড়ছেও বিদ্যুৎ বিল। তারচেয়ে বরং গ্যাস খরচ কমানোর কিছু উপায় জেনে নিন-
আগুনের আঁচ
রান্নার সময় আগুনের আঁচ মাঝারি রাখুন। কেননা অতিরিক্ত আঁচে রান্না করলে আগুন পাত্রের তল ছাড়িয়ে আশপাশ দিয়ে বের হয়ে যায়। এতে গ্যাসের অপচয় হয়।
বার্নার পরিষ্কার
গ্যাসের খরচ বাঁচাতে চাইলে নিয়মিত বার্নার সাফ করুন। রান্নার গ্যাসের আগুনের রং নীল হওয়াই বাঞ্ছনীয়। যদি লাল, হলুদ কিংবা কমলা রঙের আগুন দেখা যায় তাহলে বুঝবেন গ্যাসের দহন ঠিকভাবে হচ্ছে না। বার্নারে ময়লা থাকলে এমন সমস্যা দেখা দেয়।
আরো পড়ুন : রাতে যা খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে
ঢাকনা দিয়ে রান্না
পাত্র ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। যেকোনো পাত্রের ক্ষেত্রেই ঢাকা দিয়ে রান্না করলে অনেকটা গ্যাস বাঁচে। পাশাপাশি, সাধারণ বাসনের পরিবর্তে যত বেশি সম্ভব প্রেশার কুকার ব্যবহার করুন। এতে গ্যাসের অপচয় কম হবে।
পরিমিত পানি
রান্নায় কতটুকু পানি দেবেন, তা আগে থেকে ঠিক করে রাখুন। চাল, ডাল রান্নার আগে বেশিসময় পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এতে গ্যাস ও সময় দুটোই বাঁচবে।
স্বাভাবিক তাপমাত্রা
রান্নার আগে ফ্রিজ থেকে শাক-সবজি বা যেকোনো খাবার বের করে অন্তত আধা ঘণ্টা রেখে দিন। ঠান্ডা ভাব একদম চলে গেলে রান্না শুরু করবেন। ফ্রিজের ঠান্ডা খাবার রান্না করতে অতিরিক্ত গ্যাস খরচ হয়।
এস/এসি
খবরটি শেয়ার করুন