শুক্রবার, ১৭ই অক্টোবর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
২রা কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** রাকসুতে ভিপি-এজিএসে শিবির, জিএস আধিপত্যবিরোধী ঐক্যের জয় *** রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে ছেঁউড়িয়ায় লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে আজ *** জুলাই সনদ স্বাক্ষরের অপেক্ষা *** ‘জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই’ স্লোগানে উত্তরের মানুষ... *** সব গণমাধ্যমকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার *** ‘লং মার্চ টু যমুনা’ স্থগিত, নতুন কর্মসূচি দিলেন শিক্ষকরা *** জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শুক্রবারই, বাদ পড়লে পরেও স্বাক্ষর করা যাবে: আলী রীয়াজ *** সাবেক বিএফআইইউ প্রধান শাহীনুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা *** সাত কলেজ নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপ গুজব ছড়াচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা *** এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ৫ শতাংশের বেশি বাড়ানো সম্ভব নয়: শিক্ষা উপদেষ্টা

সেই ভিক্ষুকের কাছে মিলল আরও এক বস্তা টাকা-কয়েন

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৬ পূর্বাহ্ন, ১২ই অক্টোবর ২০২৫

#

ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জ শহরের কওমি জুটমিলের এক কোণের বারান্দায় থাকেন সালেয়া বেগম। বয়স পেরিয়েছে ৬০। অনেকে তাকে ‘সালে পাগল’ নামেই চিনতেন। প্রতিদিন সকাল বেলা ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে নিয়ে বের হতেন, বিকেলে ফিরে আসতেন নীরবে। কেউ জানত না, তার নিঃশব্দ জীবনে ধীরে ধীরে জমিয়ে গেছেন টাকা-কড়ি।

শনিবার (১১ই অক্টোবর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মাছুমপুর নতুনপাড়া এলাকায় তার কাছ থেকে স্থানীয়রা আরও এক বস্তা টাকা উদ্ধার করেছেন। সকাল ৯টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত গুনে দেখা যায়, বস্তাটিতে রয়েছে ৪৭ হাজার ৮২৬ টাকা।

এর আগে ৯ই অক্টোবর সকালেও একই স্থানে সালেয়া বেগমের দুই বস্তায় মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৫৩ টাকা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে তিনটি বস্তা থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যবহারযোগ্য টাকার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৭৯ টাকা।

সালেয়া বেগমের একমাত্র মেয়ে শাপলা খাতুন বলেন, ‘মা একা থাকতে চাইতেন। আমরা জানতামই না, তিনি এত টাকা জমিয়েছেন। এখন মা অসুস্থ। এই টাকা দিয়ে তার চিকিৎসা করানো হবে।’

সিরাজগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহরিয়ার শিপু বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আরও একটি বস্তা উদ্ধার করে ৪৭ হাজার ৮২৬ টাকার মতো পাওয়া গেছে। টাকাগুলো সালেয়া বেগমের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হবে। যদি আল্লাহ তাকে নিয়ে যান, তবে অবশিষ্ট টাকা তার মেয়েকে দেওয়া হবে। একজন ভিক্ষুকের কাছেও এত টাকা থাকতে পারে, এটা সত্যিই বিস্ময়কর।’

সালেয়ার স্বামী মারা গেছেন অনেক বছর আগে। এরপর একাই জীবন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দীর্ঘ চার দশক ধরে ভিক্ষা করে নিজের মতো করে বেঁচে ছিলেন।

মানুষের অগোচরে সালেয়া বেগম কত টাকা জমিয়েছেন, তা হয়তো তার কাছেও ছিল অজানা। কওমি জুটমিলে এক কোণের বারান্দার সেই ছোট জায়গাটিই ছিল তার আশ্রয়, আর সেই জায়গাতেই লুকানো ছিল জীবনের সব সঞ্চয়—তিন বস্তা টাকা।

জে.এস/

ভিক্ষুক

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন

Footer Up 970x250