শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অধিকাংশ নিবন্ধিত দল ও বিএনপি নেতাদের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ

অরুণ কুমার গোস্বামী

🕒 প্রকাশ: ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, ১০ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

অধিকাংশ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল এবং বিএনপি নেতাদের অংশগ্রহণে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী আমেজে মুখরিত দেশের গ্রাম-গঞ্জ ও শহর-বন্দরের সকল জনপদ। নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্য থেকে এই নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে মোট ৩০টি রাজনৈতিক দল। সংখ্যা,  আনুষ্ঠানিকতা তথা অফিসিয়ালিটির নিরিখে স্বল্প সংখ্যক নিবন্ধিত দল, মাত্র ১৪টি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বাইরে থেকে নির্বাচনের বিরোধিতা এবং তা প্রতিহত করার চেষ্টা করছে।

এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন হচ্ছে অধিকাংশ দলের অংশগ্রহণ সত্ত্বেও  বিএনপির নেতৃত্বে গুটি কয়েক দল কর্তৃক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার চেষ্টা সফল হবার সম্ভাবনা আছে কী? এ প্রশ্নের উত্তর প্রথমত নির্ভর করছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী তথা “নির্বাচনমুখী” এবং “নির্বাচনবিমুখ” তথা “নির্বাচন প্রতিহত” করার প্রচেষ্টারত পক্ষের “শক্তি”, “নেতৃত্ব”, এবং “কৌশল” এর উপর। 

একথা অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে “জনগণের নির্বাচনমুখীনতা”। এখানে সামরিক শাসকদের কোনও স্থান নেই। এক্ষেত্রে আর একটি অনস্বীকার্য এবং ঐতিহাসিক বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের মূল প্রেরণার উৎস ছিল “নির্বাচন” এবং এই নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে তৎকালীন “ধর্মীয় ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র পাকিস্তান সরকারের অস্বীকৃতি”। 

১৯৭০ সালের নির্বাচনের ফলাফল এবং সেখান থেকে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে উত্তরণের ঐতিহাসিক প্রক্রিয়া এই পর্যবেক্ষণের যথার্থতা তথা সঠিকতা প্রমাণ করে। 

এগুলোকেই  আমরা প্রাথমিকভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী এবং নির্বাচন প্রতিহত করতে উদ্যত রাজনৈতিক শক্তি দু’টির সফলতা ও ব্যর্থতার সম্ভাবনা যাচাই করার মানদন্ড তথা হাইপোথিসিস বা অনুকল্প হিসেবে গ্রহণ করতে পারি। তবে রাজনীতিতে যেহেতু সর্বকালের জন্য স্বীকৃত কোনও মানদন্ড নেই সেহেতু আমরা স্বাধীনোত্তর বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় রাজনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একদিকে “অবাধ ও সুষ্ঠু” এবং এর বিপরীতে ”নিয়ন্ত্রিত” নির্বাচনসমূহ অনুষ্ঠানের তুলনামূলক পর্যালোচনার দিকে আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করতে পারি।

দেশের ইতিহাসে প্রথম অবৈধভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলকারী, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা এবং দেশের প্রথম সামরিক শাসক জিয়াউর রহমানের অধীনে (এবং জিয়াউর রহমানের অবৈধ ক্ষমতা দখলকে বৈধতার তকমা দেয়ার জন্য) অনুষ্ঠিত নির্বাচনগুলোকে  কমপক্ষে “নিয়ন্ত্রিত” নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করতে দেশের কোনও রাজনৈতিক শক্তিই দ্বিধান্বিত হবে না! জিয়াউর রহমানের অধীনে অনুষ্ঠিত অবৈধ তথা সীমাহীন কারচুপিময় নির্বাচনের অধ্যায় পেরিয়ে তার বিধবা পত্নী খালেদা জিয়ার শাসনামলে ১৯৯৪ সালের ২০শে মার্চ মাগুরা-২ আসনের উপনির্বাচনের মহাকারচুপির প্রতি সর্বত্র ব্যাপক নিন্দা বর্ষিত হয়েছে।

এরপর, ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল একটি প্রত্যাখ্যাত ও সব মহলে অগ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন। সেবার জনরোষে টিকতে না পেরে খালেদা জিয়া পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের বিরোধিতার মুখে ১৯৯৬ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির নির্বাচনী ফলাফল টিকিয়ে রাখতে না পারা বিএনপির রাজনৈতিক শক্তিহীনতা তথা দুর্বলতার চরম বহিঃপ্রকাশ !

বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচিত একটি জাতীয় সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ১৫ই ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভ করে।  খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতাদের ঐতিহাসিক প্রতিহিংসাপরায়ণতার সাক্ষ্য বহন করছে ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ। প্রতিহিংসাপরায়ণতার বশবর্তী হয়ে প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনী খন্দকার আবদুর রশিদকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করতে চেয়েছিল বিএনপি !! 

এই ন্যক্কারজনক প্রতিহিংসা আমাদের জাতীয় কলঙ্কের ক্ষতচিহ্নগুলোকে স্থায়ী করার মাধ্যমে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল বিএনপি প্রতিহিংসাপরায়ণতার  শক্তিশালী নজির স্থাপন করেছে। 

১৯শে মার্চ ১৯৯৬ ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে মাত্র চার কার্যদিবস অর্থাৎ ২৫শে মার্চ পর্যন্ত তা চলেছিল এবং ৩০শে মার্চ ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন। 

 খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের  বিএনপি এরপর থেকে  রাজনৈতিক দুর্বলতাকে সন্ত্রাসী জঙ্গিবাদী পাকিস্তানী কায়দায় “মহাশক্তিতে” রূপান্তরিত করার চেষ্টা শুরু করে। স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানও বিএনপি কে শক্তিশালী দেখতে এবং শক্তিশালী করতে চেয়েছে।  এই পর্যায়ে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সক্রিয় সহায়তায় ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলটি জয়লাভ করেছিল।

সেসময়ের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান ছিলেন বিচারপতি লতিফুর রহমান। বিএনপিকে এই নির্বাচনে জয়ী করার লক্ষ্যে তাৎপর্যপূর্ণ এবং (পাকিস্তানীকরণে) ঐতিহাসিক  ভূমিকা পালন করেছে বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। আইএসআইয়ের সহায়তা ও উৎসাহ উদ্দীপনায় আপ্লুত হয়ে বিএনপি সেবার ২০০১ এর নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের “কাঁধে  ভর  করে” সুক্ষ্ণ কারচুপির মাধ্যমে শক্তিমান হয়ে ক্ষমতায় এসেছিল। অতএব, পাকিস্তানের এজেন্ডা বাস্তবায়ন তথা বিএনপির প্রধানতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিরোধী দল আওয়ামী লীগকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার লক্ষ্যে ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় গ্রেনেড হামলা করেছিল বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। কিন্তু রাজনৈতিক দুর্বলতাকে “সন্ত্রাস” দ্বারা শক্তিতে রূপান্তরিত করা যায় না।

অপর দিকে, পাকিস্তানীকরণ তথা বাংলাদেশে ভারতবিরোধিতাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে সেসময় আরও অনেক ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালিয়েছিল “খালেদা জিয়া মন্ত্রিপরিষদের সরকারি নেতৃত্ব” এবং বিএনপির রাজনৈতিক  দুর্বৃত্তায়নের সূতিকাগার “হাওয়া ভবন” এর কর্ণধার “তারেক রহমানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব”।  ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্যে ভারতের সমর্থন পাওয়ার দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষার  বশবর্তী হয়ে এখন কাকুতি মিনতি করছে! পাকিস্তানের মদতপুষ্ট হয়ে ভারত-বিরোধিতা করে রাজনৈতিকভাবে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে বিএনপি এখন ভারতের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় !

একদিকে পাকিস্তানের নিজেরই ত্রাহি অবস্থার কারণে আইএসআইয়ের সমর্থনে কাজ না হওয়া, অপরদিকে ভারতের সমর্থন আদায়ে ব্যর্থতা, দলীয় নেতৃত্বের দুর্বলতা প্রভৃতি বিএনপিকে দুর্বল থেকে দুর্বলতর করে তুলেছে। এপ্রসঙ্গে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের পর্যবেক্ষণ প্রণিধানযোগ্য,  “বিরোধী দলগুলো এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরোধ-হরতালের মতো কঠোর আন্দোলন চালিয়ে গেলেও বিএনপির প্রধান নেতারা স্পষ্টতই অনুপস্থিত। দলের প্রথম সারির নেতারা কারাগারে থাকলেও বিএনপির বাকি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কেন্দ্রীয় কমিটির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতারা আত্মগোপনে রয়েছেন।” 

বিএনপি-র ষষ্ঠ কাউন্সিল হয়েছিল ২০১৬ সালের ১৯শে মার্চ।  এরপর,  বিএনপি দুই দফায় ৬০০ জনেরও বেশি সদস্যের সমন্বয়ে একটি কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছিল, বর্তমান সেই সংখ্যা ৫০২ জনে নেমে এসেছে।  বাকি ৯৮ জনের মধ্যে অনেকেই মারা গেছেন, অনেকে অসুস্থ আছেন, কেউ বহিষ্কৃত হয়েছেন এবং অন্যরা পদত্যাগ করেছেন।

অভিজ্ঞ মহলের অভিমত, নির্বাচন প্রতিহত করার রাস্তায় না হেঁটে নির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বিএনপির রাজনৈতিক দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার সম্ভাবনা ছিল। এই মনোভাবের বশবর্তী হয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বিএনপির অফিসিয়াল স্ট্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৫ জন কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা এবং দলটির ৩০ জন সাবেক সংসদ সদস্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এসবই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বের চরম দুর্বলতা ও ব্যার্থতার প্রমাণ দিচ্ছে!

আরো পড়ুন: সফট স্কিলে হয়ে উঠুন দক্ষ কর্মী

একদিকে দুর্বলতা ও ব্যার্থতায় ভরপুর  নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা প্রদানকারী রাজনৈতিক শক্তি। অপরদিকে, এর বিপরীতে  “নির্বাচনমুখী” প্রবণতার মূল রাজনৈতিক শক্তি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বেশ সংহত এবং প্রস্তুতি নিয়েই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিরাজ করছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে, নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী সর্বশেষ ৩০শে নভেম্বর শেষ দিন পর্যন্ত নির্বাচনে ২৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।

ইতোমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৮৫ জনে। ৩০০ আসনে জমা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করে ৭৩১ জনের প্রার্থিতা বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিংকর্মকর্তারা। তাদের মধ্যে ছয় জন বর্তমান সংসদ-সদস্যের মনোনয়নপত্রও বাতিল হয়েছে। 

এর মধ্য থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণখেলাপির দায়ে ১১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। সেই হিসাবে এবার প্রায় ২৬ দশমিক নয় শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।  সংবাদ মাধ্যম কর্তৃক নির্বাচন কমিশন থেকে সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী,  এর আগে, ২০১৮ সালে প্রায় ২৫ দশমিক ছয় শতাংশ এবং ২০১৪ সালে প্রায় ২১ শতাংশ মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। 

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাতিলের কারণগুলো হচ্ছে, ঋণ ও বিল খেলাপি, অসম্পূর্ণ মনোনয়নপত্র দাখিল, হলফনামায় তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য প্রদান, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের এক শতাংশ ভোটারের তালিকায় ভুয়া স্বাক্ষর, দ্বৈত নাগরিকত্বসহ নানা ত্রুটির কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।

ইতোমধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিল সম্পর্কে প্রার্থীদের আপিল আবেদন এবং তা নিষ্পত্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। 

সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে বাতিল হওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) ৪২ জন প্রার্থী আপিল আবেদন জমা দিয়েছেন। আপিল ও আপিল নিষ্পত্তির জন্য নির্ধারিত ৬ই ডিসেম্বর থেকে ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত।  

এভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে শুরু হওয়া নির্বাচনী আমেজ ভোটের প্রচার প্রচারণায় মুখরিত হতে হতে ২০২৪ সালের ৭ই জানুয়ারি ভোট দানের মাধ্যমে পরিণতি লাভ করবে। এভাবে “নির্বাচনমুখী” রাজনৈতিক শক্তি নিশ্চিতভাবে জয় লাভের দিকে এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা প্রদানকারী রাজনৈতিক শক্তি ক্রমান্বয়ে নিশ্চিত পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনের  মাধ্যমে বর্তমান বিরোধী প্লাটফর্মের বিকল্প হিসেবে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অনুসারীদের মধ্য থেকে শক্তিশালী বিরোধী রাজনৈতিক দলের উত্থান প্রত্যক্ষ করতে যাচ্ছে কী?

* অধ্যাপক ড. অরুণ কুমার গোস্বামী, পরিচালক, সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজ। সাবেক ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, সাবেক চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। 

এসি/ আই.কে.জে/




 


জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিবন্ধিত দল

খবরটি শেয়ার করুন