শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ বিস্কুট দিবস

ডেস্ক নিউজ

🕒 প্রকাশ: ০৫:০২ অপরাহ্ন, ২৯শে মে ২০২৩

#

ছবি: রয়টার্স ।। ফাইল ফটো

অনেকের সকাল কিংবা সান্ধ্যকালীন নাশতার প্রিয় সঙ্গী বিস্কুট। আবার চায়ের সঙ্গে বিস্কুট না হলে অনেকের চলেই না। এই বিস্কুট আবার অনেক রোমান্টিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়ে থাকে। যাইহোক কমবেশি আমরা সবাই বিস্কুট খেতে ভালোবাসি। আর যারা বিস্কুট খেতে ভালোবাসেন আজকের দিনটি তাদের জন্য উদযাপনের দিন।

আজ ২৯ মে বিস্কুট দিবস। যুক্তরাজ্যের জাতীয় দিবস এটি। যুক্তরাজ্যের জাতীয় দিবস হলেও আমরা কিন্তু উদযাপন করতেই পারি। স্বাদ নিতে পারি নতুন কোনো বিস্কুটের। বিস্কুট মূলত ময়দা দিয়ে বিভিন্ন আকারে বেক করা হয়। সাধারণত- এগুলো চিনি, চকলেট, জাম, আদা বা দারুচিনির স্বাদ দিয়ে বানানো হয়। এই ছোট বেকড পণ্যটি যুক্তরাষ্ট্রে ও উত্তর আমেরিকার বাইরে বেশিরভাগ ইংরেজিভাষীর কাছে 'কুকি' বা 'ক্র্যাকার' হিসেবে পরিচিত।

জেনে অবাক হবেন যে, বিস্কুট কোনো আধুনিক উদ্ভাবন নয়। প্রাচীনকালে মানুষের প্রয়োজনীয়তা থেকে বিস্কুটের উদ্ভাবন হয়েছিল। তখন রোমান, গ্রিক ও মিশরীয় সাম্রাজ্যের বণিক এবং সামরিক কর্মীদের দীর্ঘ সময় সমুদ্রে থাকতে হত। তাই তাদের এমন একটি নাশতার প্রয়োজন ছিল, যা পুরো ভ্রমণে প্রয়োজনীয় ক্যালরির যোগান দেবে। কারণ, তাজা খাবার দ্রুত পচে যায় বলে- তাই তাজা খাবার দিয়ে তা সম্ভব ছিল না। তখন ময়দা দিয়ে কম আঁচে রান্না করা রুটি তাদের প্রধান খাবার হয়ে ওঠে। সেই রুটি থেকে ধীরে ধীরে বিস্কুটের উদ্ভাবন হয়। মধ্যযুগে সমুদ্রে বিস্কুট খুব জনপ্রিয় ছিল।

সপ্তম শতাব্দীর আগে বিস্কুটকে মিষ্টি খাবার হিসেবে খাওয়ার আধুনিক ধারণার প্রচলন হয়নি। পরে পারস্যরা বিস্কুট নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। তারা ময়দার সঙ্গে ডিম, মাখন ও ক্রিম অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করে। এরপর তারা এর সঙ্গে ফল ও মধুর মতো মিষ্টি জিনিস ব্যবহার করে প্রথম কুকিজ তৈরি করে।

দশম শতাব্দীর শেষের দিকে ইউরোপে বিস্কুটের আগমন হয়। প্রচলিত আছে, একজন আর্মেনীয় সন্ন্যাসী মধ্য এশিয়া থেকে ফ্রান্সে ভ্রমণ করেন। তিনি ককাসে যে রেসিপি শিখেছিলেন তা সবার মাঝে বিতরণ করেন। এভাবেই ইউরোপে বিস্কুটের পথচলা শুরু হয়।

এক সময় ব্রিটিশ বিস্কুট ব্যবসা বাজারে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে। ১৮৩১ সালে ব্রিটিশ কোম্পানি হান্টলি অ্যান্ড পামারস বিস্কুটের টিন উদ্ভাবন করে। ফলে, সারা বিশ্বে বিস্কুট রপ্তানি শুরু হয়। ১৯০০ সালের মধ্যে হান্টলি অ্যান্ড পামারসের বিস্কুট ১৭২টি দেশে বিক্রি হয়েছিল।

আরো পড়ুন: সোনায় মেশানো ৭ লাখ টাকার আইসক্রিম, ঠাঁই হলো গিনেস বুকে

যুক্তরাজ্যে কীভাবে বিস্কুট দিবসের প্রচলন হয়েছিল তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে, যেহেতু বিস্কুট নিয়ে সেখানে একটি দিবস আছে, সুতরাং এটি উদযাপন করা যেতেই পারে। বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে নাশতায় বিস্কুট খেতে পারেন। অথবা এক কাপ চা বা কফি সঙ্গের বিস্কুটের স্বাদ উপভোগ করুন।

এম এইচ ডি/আইকেজে 

বিচিত্র দিবস কুকিস বিস্কুট ক্র্যাকার বিস্কুট দিবস যুক্তরাজ্যের জাতীয় দিবস

খবরটি শেয়ার করুন