ছবি: সংগৃহীত
‘মা’। পৃথিবীর সব থেকে মধুর ডাক । মায়ের কল্যাণেই পৃথিবীতে আলোর মুখ দেখতে পায় সন্তান। যার উষ্ণতা আপনাকে পৃথিবীর যাবতীয় শীতলতা থেকে দূরে রেখেছে, সে-ই তো মা।
সেই মায়ের স্মরণে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার বিশ্ব মা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। যদিও মাকে ভালোবাসা কোন দিনক্ষণ ঠিক করে হয় না, তবুও মাকে গভীর মমতায় স্মরণ করার দিন আজ। তাই বিশেষ এই দিনটিকে রঙিন করে তুলতে পারেন প্রিয় এই মানুষটির জন্য।
জানা যায়, প্রাচীন গ্রিসে মা দিবস পালনের প্রচলন ছিল। কিন্তু আধুনিক মা দিবস প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম ভার্জিনিয়ায় আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃ দিবস হিসেবে পালন করেন।
আনা জার্ভিস তাঁর মায়ের মতো দেশজুড়ে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সব মাকে স্বীকৃতি দিতে প্রচার শুরু করেন। সাত বছরের চেষ্টায় মা দিবস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়। তবে এই মা দিবস ক্রমেই বাণিজ্যিকীকরণ হলে এর সমালোচনাও করেন দিবসটির প্রবক্তা আনা জার্ভিস।
এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে দিবসটি পালিত হচ্ছে।
বিশেষ দিনটি বিশ্বজুড়ে মাতৃত্ব ও মাতৃসত্তার গুরুত্ব এবং তাৎপর্য স্মরণ করিয়ে দেয়। আমাদের আবারও একবার স্মরণ করিয়ে দেয় পৃথিবীতে আমাদের পদচারণার মূল কান্ডারিকে। সন্তানের জন্য সব থেকে বেশি যে আত্মত্যাগ করতে পারে সেই নামটিই হলো মা। স্বার্থপর এই দুনিয়াতে নিঃস্বার্থভাবে শুধু মাই আমাদের ভালোবাসতে পারেন।
আরো পড়ুন: সন্তান লালনপালনের ক্ষেত্রে অভিভাবকদের যা কিছু জানা জরুরি
যদিও অনেকেই মনে করেন মাকে ভালোবাসার জন্য বিশেষ এই দিনটির প্রয়োজন নেই। কারণ প্রতিদিনই মাকে ভালোবাসার দিন হওয়া উচিত।
তবে প্রতিদিনের ভালোবাসাকে আরেকটু বাড়িয়ে বিশেষ করতে এই দিনটির গুরুত্বকে কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই। তাই বিশ্ব মা দিবসে পৃথিবীর সকল মায়ই যেন সুখী থাকেন সন্তান হিসেবে এই যেন হয় আমাদের সবার প্রত্যাশা।
এম/