সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ শুভ মহালয়া, শুরু হলো দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০১:৩০ অপরাহ্ন, ১৪ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি-ফাইল

শুভ মহালয়া উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আগমন ধ্বনি আজ শনিবার ভোর থেকে শুরু হলো। ভোরে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২০ অক্টোবর থেকে। ২৪ অক্টোবর বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই উৎসব।

শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ। কল্যাণময়ী দুর্গা দেবীকে মর্ত্যে আসার আমন্ত্রণ জানানোর দিন। মানবকল্যাণ প্রতিষ্ঠায় মহাশক্তির প্রতীক দেবী দুর্গা। মায়ের মতোই আবির্ভাব ও ভূমিকা তার। এ জন্যই তিনি সকলের মা দুর্গা।

প্রতিবছর শরৎকালে হিমালয়ের কৈলাশ ছেড়ে দুর্গা দেবী মর্ত্যে আসেন ভক্তদের কল্যাণ সাধন করে শত্রুর বিনাশ ও সৃষ্টিকে পালন করার উদ্দেশ্যে। সঙ্গে নিয়ে আসেন তার সন্তান গণেশ, কার্ত্তিক, লক্ষ্মী আর সরস্বতীকে। আবারও তার আগমনী বার্তা পৌঁছে গেছে বাঙালির ঘরে ঘরে।

এবার দেবী আসছেন দোলায় (পালকিতে) চড়ে। ফিরে যাবেন গজে (হাতির পিঠে) উঠে। দুর্গাপূজা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

দুর্গাপূজার প্রস্তুতি পর্ব বা মহালয়ার প্রথম প্রহরে শেষ হয় পিতৃপক্ষের আর শুরু হয় দেবীপক্ষের। একই সঙ্গে দুর্গাপূজার মূল অংশের প্রস্তুতিপর্ব হয়। তাই ভোর থেকেই সব পূজামণ্ডপে পুরোহিতের ভক্তিকণ্ঠে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা-নমস্তৈস্য নমস্তৈস্য নমোঃ নমোঃ’ মন্ত্র উচ্চারণ শোনা যায়।

এ উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের মন্দির ও পূজামণ্ডপগুলোতে ধর্মীয় নানা আচার-অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। চণ্ডীপাঠ ছাড়াও মঙ্গলঘট স্থাপন এবং ঢাক-কাঁসর ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবী দুর্গাকে মর্ত্যে আহ্বান জানান ভক্তরা।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আজ ভোর ৬টায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গনে কেন্দ্রীয় পূজামণ্ডপে চণ্ডীপাঠ করে দেবীকে আহ্বান জানানো হয়। সকাল ৯টায় ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সঙ্গে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচণ্ডী অর্চনা ও সকাল ১১টা পর্যন্ত বিশেষ পূজা হয়। সকালে মহালয়ার মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হয়।

আরো পড়ুন: পূজার সময় কেন শঙ্খ বাজানো-স্বস্তিক চিহ্ন দেওয়া হয়

‘মহালয়া’ কথাটি এসেছে মহালয় থেকে। মহালয়ের অর্থ পরমাত্মা। বৃহৎ আলয়। সৌর আশ্বিনের কৃষ্ণপক্ষের নাম মহালয়। দুর্গোৎসবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বের একটি মহালয়া। অন্য দুটি হচ্ছে বোধন ও সন্ধিপূজা।

শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে গতকাল ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সংবাদ সম্মেলন করেছে পূজা উদযাপন পরিষদ। এতে বলা হয়, এবার সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৭টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি চলছে।

এ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে ১০টি মণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। আর এক বছরে সারা দেশে ৩৫টি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।

পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিকের সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দ্বীপেন চ্যাটার্জী, শৈলেন্দ্র নাথ মজুমদার, পূরবী মজুমদার, বাসুদেব ধর, তাপস পাল, তাপস পাল, গোপাল দেবনাথ, সুবাশিং বিশ্বাস সাধন, বিনয় ঘোষ প্রমুখ।

এসি/ আই. কে. জে/




দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা আজ শুভ মহালয়া

খবরটি শেয়ার করুন