মঙ্গলবার, ১৬ই সেপ্টেম্বর ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১লা আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** দোহায় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: ইসরায়েলকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে *** নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি *** এই মুহূর্তে বাংলাদেশ স্বাভাবিক গণতন্ত্রের দেশ নয়: আইরিন খান *** দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ *** এই ফ্যাসিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল একটি ম্যাটিকুলাস প্ল্যানিংয়ের মাধ্যমে: মাহমুদুর রহমান *** কথিত গোয়েন্দা এনায়েতকে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা, প্রাডো গাড়িও দেন তাকে *** তিন স্ত্রীকে মৃত দেখিয়ে এসআইয়ের চতুর্থ বিয়ে! *** কৃষকেরা আড়াই লাখ টাকা ঋণ পাবেন সিআইবি চার্জ ছাড়াই *** পৃথিবীর যে ১০ স্থানে মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ *** সুশীলার মন্ত্রিসভায় দুই আমলা ও এক আইনজীবী, আকার হবে সর্বোচ্চ ১৫

আড়াই বছর ধরে বন্ধ শ্যামপুর চিনিকল, ইটিপি ঢেকে গেছে ঝোপঝাড়ে

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০২:০৭ অপরাহ্ন, ১৭ই আগস্ট ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

প্রায় আড়াই বছর ধরে রংপুরের শ্যামপুর চিনিকলে আখ মাড়াই কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। একই সাথে বন্ধ হয়ে আছে কলটির ৮ কোটি টাকার বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) নির্মাণের কাজ। ঝোপঝাড়ে ভরে গেছে এখন সেটি।

সম্প্রতি গিয়ে দেখা যায়, চিনিকলটির প্রধান ফটক বন্ধ। নিরিবিলি ও শান্ত পরিবেশ। গাছগাছালির সুবজ ছায়া। শ্রমিক-কর্মচারীদের নেই কোনো কোলাহল। শুধু প্রশাসনিক ভবনের বেশকিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখা যায়। কারখানার ভেতরে প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মাঠের ভেতর আখ পরিবহনের ট্রাক্টর-ট্রলি ঝোপঝাড় ও লতাপাতায় ঢেকে আছে। কারখানার ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় মূল্যবান যন্ত্রাংশ খুলে রাখা হয়েছে। মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার উপক্রম অনেক যন্ত্রপাতি। কারখানার পেছনে ইটিপি নির্মাণের জায়গা ঝোপজঙ্গলে ঢেকে গেছে। পিলারের রডগুলো বেরিয়ে আছে।

এব্যাপারে জানতে চাইলে চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, কারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ২০১৮ সালে ১ জুলাই ইটিপি নির্মাণকাজ শুরু হয়। তবে আখমাড়াই বন্ধের সঙ্গে সঙ্গে এর নির্মাণ কাজও বন্ধ হয়ে যায়।

চিনিকল কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারি অর্থায়নে ইটিপি নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। নির্মাণের মেয়াদকাল ছিল ২০২০ সালের ৩০ জুন। কারখানা কর্তৃপক্ষ বলছে, ৩০ শতাংশের বেশি কাজ হয়নি।

শ্যামপুর চিনিকল এমপ্লইজ ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ান আগে ৫০ একর জমিতে আখ চাষ করতেন। এখন মাত্র তিন-চার একর জমিতে তিনি আখ চাষ করেন। এই আখ জয়পুরহাট চিলিকলে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘নতুন করে চিনিকলের আখমাড়াই শুরু করার কথা শোনা যাচ্ছে। কিন্তু কী হবে জানি না। আমরা চাই, চিনিকল চালু হোক। আবার কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আসুক কারখানায়।’

শ্যামপুর এলাকার কৃষক আফজাল হোসেন (৬৩) ও মনোয়ার হোসেনের (৬৪) সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানালেন, মিল বন্ধ হওয়ায় এখন আর আখ চাষ হয় না। সেখানে এখন আলু-ধানসহ সবজি আবাদ করছেন। আফজাল বলেন, দেশে চিনির দাম দিন দিন বাড়ছে। এখন এই চিনিকল চালু থাকলে সবার উপকার হতো।

এব্যাপারে চিনিকলের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ সাদিক গণমাধ্যমকে বলেন, বর্তমানে চিনির বাজার ঊর্ধ্বগতির কারণে চিনিকল চালু হলে দেশের জন্য ভালো হতো। চিনিকল চালু হলে এলাকার অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

চিনিকল নতুন করে চালু এবং ইটিপি নির্মাণ প্রসঙ্গে মাসুদ সাদিক বলেন, শোনা যায় চালু হবে। কিন্তু সরকারিভাবে কোনো নির্দেশনা নেই। কারখানা বন্ধ হওয়ার সময় থেকে ইটিপি নির্মাণের কাজ বন্ধ রয়েছে।

শ্যামপুর চিনিকলের আয়তন প্রায় ১১১ দশমিক ৪৫ একর। একসময় এই চিনিকলের আওতায় ৩০ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ চাষ হতো। বর্তমানে সীমিত পরিসরে ১৬০ একর জমিতে আখ চাষ হয়।

এম.এস.এইচ/


শ্যামপুর চিনি কল

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন