শুক্রবার, ২২শে নভেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৮ই অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইন্ডাস্ট্রি বাবাকে সুপারস্টার থেকে বি গ্রেড অভিনেতা বানিয়ে দিয়েছিল : মিঠুন পুত্র

বিনোদন ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৭শে এপ্রিল ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আশির দশকের অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর যশ-প্রতিষ্ঠা ছিল তুঙ্গে। নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। মিঠুনের কনিষ্ঠ পুত্র নমশিরও অভিষেক হতে চলেছে বলিউডে, রাজকুমার সন্তোষী পরিচালিত ‘ব্যাড বয়’ ছবিটি দিয়ে। এই ছবির প্রচারে এসে নমশি তাঁর বাবার কেরিয়ার নিয়েও মত প্রকাশ করেন।

নমশি জানান, পরিবারের ওঠাপড়া কাছ থেকে দেখেছেন। বাবা এবং দাদা মিমোর কেরিয়ারে নানা ট্র্যাজিক মুহূর্তও চাক্ষুস করেছেন বলে জানান নমশি। মিঠুনের পুত্র হিসাবে তিনি গর্বিত। পরিবারের খারাপ সময়ের প্রসঙ্গ তোলার পাশাপাশি নমশি বললেন, “ইন্ডাস্ট্রি যেমন আমার বাবাকে সুপারস্টার বলেছে, তেমনই পরে নির্লজ্জের মতো তাকে ‘বি গ্রেড’ অভিনেতাও বলেছে।”

১৯৯৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘গুন্ডা’ ছবিটিতে মিঠুনের অভিনয় করা নিয়েও খেদ রয়েছে নমশির। তাঁর মতে, এটি একটি ‘কুখ্যাত’ ছবি। মিঠুনের মানের অভিনেতার এই ছবিটিতে কাজ করা ঠিক হয়নি বলেই মত নমশির। যদিও, ব্যক্তিগত ভাবে ছবিটি পছন্দই করেন মিঠুন-পুত্র। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বলিউডে এটি একটি ‘কাল্ট’ ছবির মর্যাদাও পেয়েছে।

তবে, বাবার ছবি নিয়ে নমশির এই ধরনের খারাপ লাগা কেন?

‘গুন্ডা’ সিবিএফসির তরফে ‘এ’ শংসাপত্র পেয়েছিল। বেশ কিছু দৃশ্য ছিল ছবিতে, যা ‘আপত্তিকর’ বলে রব উঠেছিল। ভাষার ব্যবহারের দিক থেকেও ছবিটিকে ‘অশ্লীল’ বলে দাবি করেছিলেন অনেকে। এমনকি, এই ছবি প্রেক্ষাগৃহ থেকে তুলেও নিতে হয়েছিল, বিশেষত কলেজছাত্রীদের আপত্তিতে।

স্পষ্ট বলেন মিঠুন-পুত্র, “গুন্ডা একটা কুখ্যাত সিনেমা। আজকের প্রজন্ম, যারা আমার বাবার অভিনয় সম্পর্কে সে ভাবে জানে না, তাদের মনে হতে পারে, আমার বাবা কেবলমাত্র এই ধরনের ছবিতেই অভিনয় করতে সক্ষম। অনেক মানুষ এমনটা ভাবতেই পারেন। কিন্তু সেটা তো সত্যি নয়।”

বাবার ভাবমূর্তি ওই ছবিতে অভিনয়ের ফলে অনেকখানি নষ্ট হয়েছে বলেই ভাবেন নমশি। ‘গুন্ডা’ ছবিতে মিঠুনের সঙ্গে ছিলেন মুকেশ ঋষি, শক্তি কপূর, মোহন যোশী প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালের ৬ সেপ্টেম্বর।

মিঠুন দীর্ঘ সংগ্রাম করেছেন বলিউডে। ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ডিস্কো ডান্সার’ ছবিটি তাঁকে বলিউডে প্রথম সারির নায়কের মর্যাদা দেয়। তার পরও তাঁর উপার্জন ছিল সামান্যই। বাসে চেপে শুটিংয়ে আসতেন। ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার সামর্থ্য ছিল না। মিঠুন জানান, সত্তরের দশকে তাঁর রূপটানশিল্পীও তাঁর তুলনায় বেশি টাকা রোজগার করতেন।

আরো পড়ুন: ঈদ সালামি দিয়ে রাজের জন্য উপহার কিনেছেন পরীমণি

মিঠুনের আর এক পুত্র মিমো সম্পর্কে নমশি বলেন, “দাদা সিনেমায় এল আর হারিয়ে গেল। সবই দেখলাম। এ সব দেখে দেখে চামড়া মোটা হল আমার। যদিও দাদাও শিখেছে। এখন সে আরও শক্তিশালী। একসঙ্গে দু’খানা ছবি নিয়ে আসছে।”

নমশির জীবনে আদর্শ তাঁর বাবাই। তাঁর অভিনীত রোম্যান্টিক-কমেডি ‘ব্যাড বয়’ আগামী ২৮ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। এ ছবিতে নমশির সঙ্গে দেখা যাবে জনি লিভার, রাজপাল যাদব, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে।

এসি/ আই.কে.জে/

ইন্ডাস্ট্রি সুপারস্টার অভিনেতা মিঠুন

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন