ছবি: সংগৃহীত
সৌদি কোম্পানি আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সি তারা পরিচালনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করার পরে এবার ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারও ছেড়ে দিচ্ছে।
আরবসাস ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিস্ট এজেন্সির হাতে থাকা ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা। তাঁর কথায়, ‘ভালো মুনাফা পাওয়ায় সৌদি কোম্পানিটি শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে।’ ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কিছুদিন পর থেকে এর সঙ্গে সৌদি কোম্পানিটি যুক্ত হয়েছিল।
এর আগে ইসলামী ব্যাংকের পুরো শেয়ার ছেড়ে দিয়ে পরিচালনা থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল সরকারি প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)। তারও আগে বেশ কিছু বিদেশি প্রতিষ্ঠান এ ব্যাংকের শেয়ার বিক্রি করে দেয়।
মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ভালো মুনাফা পাওয়ায় সৌদি কোম্পানিটি শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে। ৪০ বছর ধরে তারা আমাদের সঙ্গে ছিল। তাদের উদ্দেশ্য ইসলামি ধারার ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করা। যেসব দেশে ইসলামি ব্যাংক নেই, তারা সেসব দেশে যাবে।’
যখন শেয়ারের দাম আরও চাঙা ছিল, তখন না ছেড়ে এখন ছাড়ছে কেন, এমন প্রশ্ন করা হলে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘তারা ৪০ বছর ধরে মুনাফা পেয়েছে। তারা শেয়ার ছাড়ায় ভালো হয়েছে। দেশের কোম্পানিগুলো তা কিনতে পারছে। এটা দেশীয় সক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মুস্তফা কে মুজেরী বলেন, ‘ব্যাংকটির অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আস্থা রাখতে পারছেন না। এটা দেশের জন্য অশনিসংকেত। এতে বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহ দেখানো কমিয়ে দেবেন। যদিও আমরা বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা উদ্যোগ নিয়ে যাচ্ছি। ’
ইসলামী ব্যাংকের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৩ সালে। তখন থেকেই জামায়াতে ইসলামী-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২০১১ সাল পর্যন্ত ব্যাংকটি পরিচালনা করেছে। ২০১১ সালের নভেম্বরে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন নিয়ম চালু করে, কেউ তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিচালক হতে হলে তাঁর হাতে ওই প্রতিষ্ঠানের ন্যূনতম ২ শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে। এ বিধান করার পর ব্যাংকটিতে জামায়াত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের একচ্ছত্র আধিপত্যে কিছুটা ভাটা পড়তে শুরু করে।
খবরটি শেয়ার করুন