ছবি : সংগৃহীত
প্রত্যেকের পোশাকের সাথে একটা মানানসই ব্যাগ প্রয়োজন। পোশাকের ধরনভেদে ব্যাগ যেমন পরিবর্তন হয়, ঠিক তেমনি স্থান বা অনুষ্ঠানের প্রকারভেদেও ব্যাগে আসে ভিন্নতা। জিন্স-টি শার্ট-এর সাথে যে ব্যাগটি মানিয়ে যাবে সেটি আপনি বিয়ের অনুষ্ঠানে কখনও নিতে পারবেন না। ফ্যাশন সচেতন অনেকেই এখন পোশাকের রঙের সাথে মানিয়ে ব্যাগ নিয়ে থাকেন।
অনেকে কোথায় কোন ব্যাগ ব্যবহার করবেন, সেটা নিয়ে কিছুটা কনফিউজড হয়ে পড়েন। বিশেষ করে ট্র্যাভেল ব্যাগ, স্লিং ব্যাগ নিয়ে কিছুটা কনফিউশন তৈরি হয়। তাই জেনে নিন ব্যাগ নিয়ে কিছু টিপস।
১) অফিস ব্যাগ
অনেকেই অফিসের জন্য কোন ব্যাগ কিনবেন ঠিক বুঝে উঠতে পারেন না। স্টাইলিশ, কমফোর্ট আবার প্রয়োজনীয় সবকিছু যেন এক ব্যাগে থাকে, এমন একটি ব্যাগ কিনতে চায়। তাই কর্মজীবী নারীদের অফিসের ব্যাগ নির্বাচনে কিছুটা বিপাকে পড়তে হয়। সাধারণত কিছুটা মাঝারি সাইজ-এর ব্যাগই অফিসের জন্য নেওয়া ভালো। পানির বোতল, ছাতা, মেকআপ-এর টুকিটাকি, পারফিউম সব কিছু যেন এক ব্যাগ-এ রাখা যায়।
কালো রং-এর পাশাপাশি গাঢ় বাদামি রঙের ব্যাগও ব্যবহার করতে পারেন। সাদা, অ্যাশ বা হালকা যেকোনো রঙের ব্যাগ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন। কারণ, এই কালার-এর ব্যাগগুলো প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত ময়লা হয়ে যায়।
এছাড়া লাল কিংবা নীল ব্যাগ পোশাকের সাথে মানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। কেনার আগে অব্যশই ব্যাগ-এর আকারটি দেখে কিনবেন। আপনার উচ্চতার চেয়ে ব্যাগের আকৃতি যেনো বড় না হয়ে যায় সেদিকে লক্ষ রাখবেন।
আরো পড়ুন : শাড়ির সাথে যে তিন শীত পোশাক মানানসই
২) স্ল্যাং ব্যাগ
কলেজ বা ভার্সিটি-তে গলার একপাশ দিয়ে ঝুলিয়ে একটা ব্যাগ নেওয়া হয়। সাধারণত এক দুইটা বই বা খাতা নেওয়া হয় এই ব্যাগ-এ। এই ধরনের ব্যাগকে তাই স্ল্যাং ব্যাগ বলা হয়। আজকাল কলেজ বা ভার্সিটি ছাড়াও মোবাইল, অল্প কিছু টাকা রাখার জন্য অনেকেই ছোট আকৃতির স্ল্যাং ব্যাগ ব্যবহার করেন।
কিশোরী বা তরুণীরা ওয়েস্টার্ন ড্রেস-এর সাথে কাঁধের একপাশ অথবা কোনাকুনি করে এই ব্যাগ নিয়ে থাকে। ওয়েস্টার্ন ড্রেস-এর সাথে বেশ ভালোই মানিয়ে যায় স্ল্যাং ব্যাগ। আবার মা-খালারা মর্নিং ওয়ার্ক করতে যাওয়ার সময় গলায় যে চারকোণা ছোট ব্যাগটি ঝুলিয়ে নেয় সেটিকেও কিন্তু স্ল্যাং ব্যাগ বলে।
আজকাল বাজারে নানান রং এবং ডিজাইনের স্ল্যাং ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। আপনার চাহিদা এবং পছন্দ অনুযায়ী বেছে নিতে পারবেন স্ল্যাং ব্যাগটি!
৪) ক্লাচ ব্যাগ
ক্লাচ ব্যাগ-কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। পার্টির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ হলো ক্লাচ ব্যাগ। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইনের ক্লাচ ব্যাগ দেখতে পাওয়া যায়। বিদেশি এবং দেশি উভয় ধরনের ক্লাচ ব্যাগ আপনি পাবেন। সাধারণত শাড়ীর সাথে একটু গর্জিয়াস ছোট ক্লাচ ব্যাগ নিলেই একটা জাঁকজমক লুক চলে আসে। ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে পেয়ে যেতে পারেন পছন্দের ক্লাচ ব্যাগটি।
৫) আউটিং ব্যাগ
সারাদিনের জন্য কোথাও ঘুরতে যাচ্ছেন কিংবা শপিং-এ যাচ্ছেন তখন কি আর ছোট ক্লাচ ব্যাগ নিবেন? কখনই না। ঘুরতে যাওয়ার জন্য কিছুটা বড় ব্যাগ নিতে হয়। যার মধ্যে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রাখা যায়। দূরে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য ব্যাক প্যাক বা ছোট ট্র্যাভেল ব্যাগ সবচেয়ে ভালো। আর যদি বেশ কিছুদিনের জন্য ভ্রমণের পরিকল্পনা করা হয়, তাহলে ট্রলি ব্যাগ হতে পারে বেস্ট সঙ্গী।
ভ্রমণের সময় মাথায় রাখবেন কোথায় যাচ্ছেন, কয়দিন থাকবেন তার উপর নির্ভর করে ট্র্যাভেল ব্যাগ বাছাই করা উচিত। ব্যাগ প্যাকার্স, ফোর ডাইমেনশন-এর মতো দেশীয় ব্র্যান্ড-এর পাশাপাশি আপনি বিদেশি ব্র্যান্ড যেমন প্রেসিডেন্ট, টি ট্রাভেলস, ক্যামেল মাউন্টেইন, লিভস কিং, ম্যাক্স, ন্যাক্স, পিয়ারি গার্ডেন ইত্যাদি ব্র্যান্ড-এর ব্যাগ আপনি কিনতে পারেন।
তাহলে জায়গা বুঝে ব্যাগ নিতে এবার আর কোনো ভুলই হবে না! ঘরের বাহিরে চলাফেরা হবে আরও স্বাচ্ছন্দ্যময় আর আপনি হবেন আরও কনফিডেন্ট!
এস/ / আই.কে.জে
খবরটি শেয়ার করুন