শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ

*** আমেরিকার বাজারে শুল্ক কমেছে, বাংলাদেশে স্বস্তি *** ফল দেখলেই বুঝবেন, কাজটা ঠিক হয়েছে কী না: খলিলুর রহমান *** ইনার হুইল ক্লাবের উদ্যোগে দরিদ্র ছাত্রীদের জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে টিকা দান *** চোরা শিকার রুখতে গন্ডারের শিংয়ে তেজস্ক্রিয় পদার্থ! *** দ্বিজাতিতত্ত্বের কবর দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম, এখানে সাম্প্রদায়িকতার জায়গা নেই: জেড আই খান পান্না *** বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক কমিয়ে ২০ শতাংশ করল আমেরিকা *** জিম্বাবুয়েকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে বাংলাদেশ *** মেসির কারণেই সেদিন চুপ ছিলেন উরুগুয়ের ফুটবলার *** সাংবাদিক হত্যা মামলার আসামি চেয়ারম্যান পদ ফিরে পাওয়ায় বকশীগঞ্জে বিক্ষোভ *** গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শুরু ৩রা আগস্ট

কচুরমুখী চাষে বদলাচ্ছে ভাগ্য, স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা

নিউজ ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:১৪ পূর্বাহ্ন, ৯ই অক্টোবর ২০২৩

#

ছবি-সংগৃহীত

কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার লালমাই পাহাড়ে কচুরমুখী চাষ করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করছেন কৃষকরা। ভালো ফলন পাওয়ায় আর্থিক স্বচ্ছলতার স্বপ্নে বিভোর তারা। বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে কচুরমুখীর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি চাষিরা।

জানা যায়, লালমাই পাহাড়ের উঁচু নিচু অনেক জমিতে কচুরমুখীর চাষ হয়েছে। চাষিরা নিজে ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে জমি থেকে কচুরমুখী তুলছেন। মাঠ থেকে সংগ্রহ করে পরিষ্কার করে বিকালে তা চলে যাবে হাটে।

লালমাই পাহাড়ে কচুরমুখী চাষ করেছেন কৃষক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন, আমি গত দশ বছর যাবত লালমাই পাহাড়ে কচুরমুখীসহ বিভিন্ন ধরনের সবজির চাষাবাদ করে আসছি। কৃষি কাজ করেই আমার সংসার চলে।

তিনি আরো বলেন, এবছর আমি ২৪০ শতক জমিতে কচুরমুখীর চাষ করেছি। চাষ করতে প্রায় ৩ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবছর কচুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

এখন পর্যন্ত প্রায় ১৮ টন কচুরমুখী জমি থেকে উঠিয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে ৮ লাখ টাকার কচু বিক্রি করতে পারবো। যা থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা লাভ থাকবে।

বিজয়পুর এলাকার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বলেন, লালমাই পাহাড়ের কচুরমুখী স্বাদে ও গুণে অন্যন্য। এখানকার কচুরমুখীর চাহিদা শুধু স্থানীয় বাজারে নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায়ও এর ব্যাপক সুনাম রয়েছে। এখানকার উৎপাদিত কচু দিয়ে ইলিশ মাছের তরকারি খুব স্বাদের হয়।

তিনি আরো বলেন, এখানকার কচুরমুখী স্থানীয় কুমিল্লার কোটবাড়ি, পাহাড়পুর, বিজয়পুর, নিমসার হাটে চলে যায়। সেখান থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় কচু সরবরাহ হয়। পাইকারি ৪০-৫০ টাকা আর খুচরা বাজারে ৬০-৮০ টাকা কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়।

আরো পড়ুন: বারান্দায় বা ছাদের টবে অল্প যত্নেই মরিচের চাষ

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল বাশার চৌধুরী বলেন, এবছর লালমাই পাহাড়ে ৫০ হেক্টর জমিতে কচুরমুখীর চাষ হয়েছে। বছরের এই সময় চাষিরা জমি থেকে কচুর তোলা, তা পরিষ্কার করা ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত থাকে। কৃষকরা নিজেরা লাভের পাশাপাশি সৃষ্টি করেন অনেক কর্মসংস্থান।

এসি/ আই.কে.জে




চাষিরা কচুরমুখী চাষ

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন