ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তরে অবস্থিত ভৌগোলিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ এক অঞ্চল কাশ্মির। এ অঞ্চলের সৌন্দর্য কখনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। ফারসিতে লেখা দুইটি পঙক্তির মাধ্যমে এ অঞ্চলকে স্বর্গের সাথে তুলনা করা হয়। তুষারময় হিমবাহ, পাহাড়ী হ্রদ, গভীর অরণ্য, উঁচু পর্বতমালা, বিস্তৃত তৃণভূমি, এর মাঝে বয়ে চলা নদী সব মিলিয়ে পৃথিবীর স্বর্গ রূপে সকলের কাছে পরিচিত এ কাশ্মির। এমনই আরেক অপরূপ প্রাকৃতিক লীলাভূমি রিয়ানিরা তৃণভূমি।
রিয়ানিরা যাওয়ার তিনটি পথ রয়েছে। বনবিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে আমি এবং আমার বন্ধুরা তৃতীয় পথটাকেই বেছে নেই। যদিও এ পথ অত্যন্ত দীর্ঘ তবে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। পাইন এবং দেবদারুর গাছের ফাঁক দিয়ে আমরা চলতে থাকি আমাদের গন্তব্যের দিকে। তিন কিলোমিটার যাওয়ার পর আমরা ড্রে-নাদ নামের ছোট এক তৃণভূমি দেখতে পাই। সেখানে বসবাসরত গুজ্জারদের সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য আমরা কিছু সময় বিশ্রাম নেই। গুজ্জার উপজাতিরা আমাদের দুধ খেতে দেয়।
তারপর উত্তর-পূর্বে তুষারাবৃত পর্বত দ্বারা বেষ্টিত বৃহৎ চিরস্থায়ী তৃণভূমির সন্ধান পাই আমরা। এর পশ্চিমে রিয়ানিরা উপত্যকা এবং উত্তর-পশ্চিমে গুরওয়াতান এবং তেথজান উপত্যকা অবস্থিত।
আরো পড়ুন: স্বর্ণের চেয়েও দামি যে বৃক্ষনির্যাস
আরো ২.৫ কিলোমিটার দূরে আমরা অপর একটি তৃণভূমি দেখতে পাই। সেখানে এক বাসিন্দা গরু চড়াচ্ছিলেন। তার সাথে কথা বলে আমাদের বেশ ভালো লাগে৷ তিনিও আমাদের সাথে কথা বলে বেশ আনন্দিতই হয়েছেন বুঝা যায়। আমরা বুঝতে পারি এখানকার বাসিন্দারা বেশ অতিথিপরায়ন। একের পর এক তৃণভূমি ও বন পেরিয়ে আমরা এসে পৌঁছাই শাহকুটে৷ শাহকুট ক্যাম্পিং এর জন্য উপযুক্ত একটি স্থান।
সবুজ উপত্যকা, পাহাড়ি ঝর্ণার স্রোতের সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ রিয়ানিরা তৃণভূমি আমাদের পথ চলার সমস্ত ক্লান্তি নিমিষেই দূর করে দেয়। সেখানকার সৌন্দর্য প্রাণভরে উপভোগ করার পর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আমরা আবার ফেরার পথ ধরলাম।
শোয়েব ইদ্রিস লতিফ
সূত্র: ডেইলি গুড মর্নিং কাশ্মির
এম এইচ ডি/ আইকেজে