প্রতীকী ছবি
কোল্ড ড্রিঙ্কস বা কোমল পানীয় বর্তমান আধুনিক জীবনযাত্রার একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরিয়ানি, কাচ্চি, পিৎজা কিংবা বার্গার— খাবার যাই হোক গলা ভেজানোর জন্য সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস থাকা চাই। ভর দুপুরে ক্লান্তি দূর করতেও অনেকে ভরসা রাখেন কোমল পানীয়তে।
বাজারে কোকাকোলা, পেপসি, থামস আপ, স্প্রাইট ইত্যাদি ব্র্যান্ডের কোল্ড ড্রিংক্স রয়েছে। অজান্তেই এই পানীয় যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে জানলে অবাক হবেন, ঠান্ডা ঝাঁঝালো এই পানীয়র পেছনেই লুকিয়ে রয়েছে চিনি। ফলে অত্যাধিক চিনি থাকা এসব পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোমল পানীয়তে থাকা অতিরিক্ত চিনির কারণে দীর্ঘ মেয়াদে নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই চিনির কারণে শরীরে বিপুল পরিমাণে অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি প্রবেশ করে। ফলে দেখা দেয় স্থূলতার মতো সমস্যা। এ ছাড়া এই অতিরিক্ত চিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ায়।
এক বোতল কোমল পানীয়তে কতটা চিনি থাকে?
একাধিক গবেষণা অনুযায়ী, বেশিরভাগ জনপ্রিয় কোমল পানীয়ের একটি ক্যানেই প্রায় ৯-১০ চা চামচ চিনি থাকে। যা একদিনের মোট চিনি খাওয়ার দৈনিক সীমার তুলনায় অনেকটাই বেশি। এমনিতেই বিরিয়ানি, পিৎজা, বার্গার, ফ্রায়েড চিকেনের খাবারগুলো উচ্চ ক্যালোরির হয়ে থাকে। তার সঙ্গে কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করলে যোগ হয় অতিরিক্ত চিনি।
আরো পড়ুন: হাঁটার জন্য উপযুক্ত জুতা
এই জাতীয় পানীয়ের অভ্যাস হয়ে গেলে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, ডায়াবেটিস এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কয়েক গুণ বেড়ে যেতে পারে। পাশাপাশি, অত্যধিক চিনির কারণে দাঁতের ক্ষয় এবং ক্যাভিটিসের মতো নানা সমস্যা হতে পারে।
কোল্ড ড্রিঙ্কসের বিকল্প কী?
প্রশ্ন হতে পারে- কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া না গেলে এর বিকল্প হিসেবে মানুষ কী খাবে?
বিকল্প যে একদমই নেই তা কিন্তু নয়। গরম লাগলে কোমল পানীয় বদলে খেতে পারেন ডাবের পানি। এটি সুস্বাদু তো বটেই, স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।
একইভাবে রিচ ফুডের সঙ্গে খেতে পারেন তাজা ফলের রস। আইস টি, ইনফিউজড ওয়াটারের মতো পানীয়েও কোমল পানীয়র তুলনায় কম চিনি থাকে।
এম/