সোমবার, ২৩শে ডিসেম্বর ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
৯ই পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরবানি না দিয়ে সেই অর্থ কি দান করা যাবে?

ধর্ম ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ০৬:২৪ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মুসলমানদের জন্য কোরবানি হলো আল্লাহর নৈকট্য লাভের একটি ইবাদত। আর ইসলামে কোরবানির অর্থ হলো, আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জনের জন্য শরিয়ত নির্দেশিত উপায়ে কোনো প্রিয় বস্তু আল্লাহ তায়ালার দরবারে পেশ করা। কোরবানি মানে শুধু আত্মত্যাগই নয়; বরং আল্লাহর সঙ্গে বান্দার ভালোবাসার অনন্য এক নিদর্শনও।

এখন প্রশ্ন হলো: কোরবানি না দিয়ে সেই অর্থ দান করা যাবে কি না?

হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে কোরবানির দিনগুলোতে (জিলহজের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ) কোরবানির চেয়ে বেশি পছন্দের কোনো আমল নেই। (তিরমিজি, হাদিস: ১৪৯৩)

এ কারণে কোরবানির দিনগুলোতে বুদ্ধিমান, প্রাপ্তবয়স্কদের নির্ধারিত পরিমাণ সম্পদের মালিকের ওপর শর্তানুসারে পশু জবাই করা ওয়াজিব। তবে নির্ধারিত দিনে সামর্থ্যবান হওয়ার পরও কোরবানি না দিয়ে বিকল্প হিসেবে এর মূল্য দান করলে কোরবানি আদায় হবে না।

রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে একবার দুর্ভিক্ষ দেখা দিয়েছিল। ওই বছরও তিনি কোরবানি না করে দান-সদকা করতে বলেননি; বরং ওই বছর কোরবানি করে গোশত তিন দিনের বেশি সংরক্ষণ করতে নিষেধ করেছিলেন। যদিও পরের বছর দুর্ভিক্ষ না থাকায় সংরক্ষণের অনুমতি দিয়েছেন। (বুখারি, হাদিস: ৫৫৬৯, মুসলিম, হাদিস: ১৯৭৪)

কোরবানি পৃথক ইবাদত, আর দান-সদকা পৃথক ইবাদত। একটি অন্যটির পরিপূরক নয়।

আরো পড়ুন: বিসমিল্লাহ না বলে জবাই করা পশুর গোশত খাওয়া কি হালাল?

তবে মহামারি কিংবা দুর্যোগে আক্রান্ত অসহায় মানুষদের দান করতে চায়, তারা তাদের নিজেদের কোরবানির পশু জবাই করে গোশতগুলো অসহায় মানুষের মাঝে বণ্টন করে দিতে পারে। অথবা কোরবানির জন্য মোটা অঙ্কের বাজেট থাকলে সেখান থেকে কিছু টাকা বাঁচিয়ে তাও অসহায়দের দান করতে পারে। কিন্তু কোরবানি বাদ দিয়ে সে টাকা অসহায়দের দান করে দেয়ার সুযোগ নেই।


এম এইচ ডি/

কোরবানি অর্থ বা টাকা দান সদকা

সুখবর এর নিউজ পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

খবরটি শেয়ার করুন