বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খেজুরের রস পানে বিরত থাকার আহ্বান

স্বাস্থ্য ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১২:১০ অপরাহ্ন, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি : সংগৃহীত

খেজুরের কাঁচা রসে নিপাহ ভাইরাসের অস্তিত্ব থাকায় এই রস পানে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা (সিডিসি)। একই সঙ্গে খেজুরের কাঁচা রস বিক্রি না করতে বিক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোনও বাধা নেই।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। কাঁচা খেজুরের রসে বাদুড়ের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালায় নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। এটি একটি প্রাণিবাহিত সংক্রামক রোগ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু-কিশোররা। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গাছী ও জনসাধারণকে নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

নিপাহ রোগের প্রধান লক্ষণ সমূহ– জ্বরসহ মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া, কোনও কোনও ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।

আরো পড়ুন : ফ্যাটি লিভারের ওষুধ আসছে বাজারে, বলছে গবেষণা

নিপাহ রোগ প্রতিরোধে করণীয়– খেজুরের কাঁচা রস একেবারেই না খাওয়া, গাছ থেকে পড়া আধ খাওয়া বা আংশিক খাওয়া ফল না খাওয়া, ফল-মূল পরিস্কার পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে খাওয়া, নিপাহ রোগের লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে অতি দ্রুত কাছের সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসার পর সাবান ও পানি দিয়ে দুই হাত ভালোভাবে ধুয়ে ফেলা।

প্রসঙ্গত, রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) দেওয়া তথ্য বলছে, বাংলাদেশে দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতজন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ৭১ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। ২০০১ সালে মেহেরপুর জেলায় নিপাহ ভাইরাসের প্রথম প্রাদুর্ভাব চিহ্নিত হয়। এ বছর মার্চ মাস পর্যন্ত দেশে ১৪ জন নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১০ জনই মারা গেছেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়।

 এস/ আই. কে. জে/


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর খেজুরের রস

খবরটি শেয়ার করুন