সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৩শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিনির দাম না বাড়ানোর দাবি ক্যাবের

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৪:৪২ অপরাহ্ন, ২১শে জুন ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় চিনির দাম না বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। মঙ্গলবার (২০ জুন) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

এতে বলা হয়েছে, চিনিকল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন গত ১৯ জুন চিনির দাম প্রতি কেজিতে সর্বোচ্চ ২৫ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে জানিয়েছে। যা আগামী ২২ জুন থেকে কার্যকর হবার কথা।

আর চিনিকল মালিকদের এই সিদ্ধান্ত অযৌক্তক, ভোক্তা স্বার্থবিরোধী ও অন্যায় বলে মনে করে ক্যাব। পাশাপাশি এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছে সংস্থাটি। একই সঙ্গে মিল মালিকদের এই ভোক্তা স্বার্থপরিপন্থী সিদ্ধান্ত কার্যকর না করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ক্যাব।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাজারে বর্তমানে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে। সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বর্তমানে খুচরা বাজারে খোলা চিনি ১৩০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মিল মালিক ও ডিলারদের কারসাজিতে এখন বাজারে প্যাকেটজাত চিনিও পাওয়া যাচ্ছে না। এই অবস্থায় চিনিকল মালিকদের সংগঠনের এই সিদ্ধান্ত কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।

ক্যাব মনে করে, কোরবানি ঈদের আগে বেশি দামে চিনি কিনতে ভোক্তাদের বাধ্য করে অধিক মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে চিনিকল মালিক সংগঠনটি এই অযৌক্তিক, অন্যায় ও ভোক্তা স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ক্যাব জানিয়েছে, সরকার চিনির মূল্য নির্ধারণ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে যে চিনিকল মালিক সংগঠনটি চিনির বর্ধিত দাম নিজেরাই নির্ধারণ করে তা বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে কার্যকর করার তারিখ জানাচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত কমিশনকে অগ্রাহ্য করার শামিল বলে মনে করে ক্যাব।

আরো পড়ুন: মার্কিন কোম্পানি কম দামে বাংলাদেশকে চিনি দিবে

তাই বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভোক্তাদের অবস্থা চিন্তা করে চিনিকল মালিক সংগঠনের এই মুনাফালোভী সিদ্ধান্ত কার্যকর না করে সরকার নির্ধারিত আগের দামেই খুচরা বাজারে খোলা চিনি ও পাকেটজাত চিনি বিক্রির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলে আশা করছে ক্যাব। তাছাড়া দাবি অনুসারে চিনি আমদানি থেকে শুল্ক প্রত্যাহার ও হ্রাস করার পরও দাম বাড়ানোর এই দাবি অযৌক্তিক ও অন্যায্য বলে মনে করে ক্যাব।

এম এইচ ডি/ আই. কে. জে/

ভোক্তা চিনি কনজুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ

খবরটি শেয়ার করুন