বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাদুঘরে যাচ্ছে কাঙ্গাল হরিনাথের ছাপাখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০৫:৩১ অপরাহ্ন, ১৬ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গ্রামীণ সাংবাদিকতার পথিকৃৎ কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার ব্যবহৃত ঐতিহাসিক ছাপাখানা ‘এম এন প্রেস’ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করতে চুক্তি সই সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তিপত্রে সই করেন কাঙ্গাল হরিনাথের চতুর্থ বংশধরের স্ত্রী শ্রীমতি গীতা মজুমদার। জাতীয় জাদুঘরের পক্ষে সই করেন মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।

চুক্তিপত্রে ১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সই করেন কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার এবং দ্বিতীয় সাক্ষীর সই করেন সাংবাদিক কে এম আর শাহীন।

ছাপাখানাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তুভিটা থেকে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদার স্মৃতি জাদুঘরে নিয়ে আসা হবে।

রোববার (১৬ জুলাই) এসব তথ্য জানিয়েছেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান।


ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, শনিবার (১৫ জুলাই) বেলা ১১টায় ঢাকা শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের নবনির্মিত বোর্ড সভাকক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিনামা সই করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় জাদুঘর পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক।

জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক আরও জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ছাপাখানাটি জাদুঘরে হস্তান্তর করা হবে। কিন্তু বিনিময়ের বিষয়টি তিনি পরিবার থেকে জেনে নেওয়া কথা জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে কাঙ্গাল হরিনাথ মজুমদারের পঞ্চম বংশধর দীপঙ্কর মজুমদার বলেন, ২০ লাখ টাকার চেক ও পরিবারের দুই সদস্যের চাকরি দেওয়ার শর্তে তার মা ছাপাখানা টি হস্তান্তরের চুক্তিনামায় সই করেছেন। চেকটি তারা হাতে পেয়েছেন। এই বিনিময়ে তিনি খুব খুশি।


ছবি: সংগৃহীত

জানতে চাইলে চুক্তিনামার দ্বিতীয় সাক্ষী সাংবাদিক কে এম আর শাহীন বলেন, দুপক্ষের সমন্বয়হীনতার অভাবে দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা কাজটি সম্পন্ন হয়েছে। ২০ লাখ টাকা ও বংশধরদের দুজনের চাকরির বিনিময়ে চুক্তিটি হয়েছে। ঐতিহাসিক এ চুক্তিপত্রে সই করতে পেরে তিনি গর্বিত।

আরো পড়ুন: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক

কুমারখালী কাঙ্গাল হরিনাথ স্মৃতি জাদুঘরের অনুসন্ধান কর্মকর্তা ওবাইদুল্লাহ বলেন, ২০১৭ সালে স্মৃতি জাদুঘরটি চালু হলেও ছাপাখানাটি এখনো কাঙ্গাল হরিনাথের বাস্তুভিটায়। দর্শনার্থীরা এসেই আগে ছাপাখানাটি দেখতে চান। নানা জটিলতার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কয়েকটি শর্তে ঐতিহাসিক স্বত্বটি হস্তান্তর করছেন বংশধরেরা। অচিরেই জাদুঘরে দর্শনার্থীরা ছাপাখানাটি দেখতে পাবেন।

এম/


কাঙ্গাল হরিনাথ ছাপাখানা

খবরটি শেয়ার করুন