শুক্রবার, ৫ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২১শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামালকে জার্সি পাঠালেন মার্টিনেজ

স্পোর্টস ডেস্ক

🕒 প্রকাশ: ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৮ই জুলাই ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবল তারকা এমিলিয়ানো মার্টিনেজ দুই দিন আগে কলকাতা থেকে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে বাংলাদেশ ফুটবল অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে একটা জার্সি দিয়ে গেছেন।

জামাল সেই জার্সি এখনো হাতে পাননি বলে গতকাল বিকালে জানিয়েছেন। জামাল বলেন, ‘আমি লিগের খেলায় ছিলাম। আমাদের ম্যাচ ছিল। জার্সির কথা জানি না। কোনো জার্সি পাইনি।’ এরপর কলকাতা থেকে ঢাকায় জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কথা বলেন ক্রীড়া উদ্যোক্তা ভারতের  শতদ্রু দত্ত। কীভাবে কখন এই জার্সি জামালের হাতে তুলে দেওয়া যায়—তা নিয়ে কথা হয়েছে।

বাংলাদেশের ফুটবল অধিনায়কের সঙ্গে এমিলিয়ানোর কথা হয়নি বলে শতদ্রু কলকাতা থেকে বিনয়ের সঙ্গে দুঃখই প্রকাশ করলেন। বলছিলেন আসলেই আমি জানতাম না। কেউ যদি আমাকে বলে রাখতেন তাহলে একটা ব্যবস্থা করা যেত। বিমানবন্দরের লাউঞ্জেই জামালের সঙ্গে বসিয়ে   দেওয়া যেত।’ কথাগুলো বলতে বলতে অনেক কথাই তুলে আনলেন শতদ্রু। তিনি বাংলাদেশে এমিলিয়ানোকে আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কী কারণে? সেটা জানতে চাইলে শতদ্রু বললেন, ‘আমার বউয়ের (স্ত্রী ইন্দ্রানী দত্ত) দেশ ফরিদপুর। বিয়ে করেছি বাংলাদেশের মেয়েকে। শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর। এই টান কাজ করে।  এমির কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। আমি করে নিয়েছিল। আমি না চাইলে হতো না।’

কাতার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টাইন গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ৩ জুলাই সকালে ঢাকায় এসে দশ-এগার ঘণ্টা অবস্থান করেই চলে যান কলকাতায়। ঢাকা ছাড়ার পথে বিমানবন্দরের ভিআইপি প্রবেশ মুখে গাড়িতে বসা ছিলেন মার্টিনেজ। আর অন্যদিকে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলে ভারত থেকে ঢাকায় পৌঁছায় বাংলাদেশ ফুটবল দল। জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এবং মার্টিনেজ একই সময়ে ভিআইপি এরিয়াতে। জামাল দেখা করতে চেয়েছিলেন, পারেননি। শতদ্রু বলছিলেন, ‘আমাকে কেউ একজন বলেছিল, কিন্তু ভিড়ের মধ্যে আমি ততটা বুঝতে পারিনি। পরে ছবি দেখে মনে হচ্ছে চিনেছি।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের স্টাফ মহসীন বললেন, ‘গাড়িতে বসা ছিলেন মার্টিনেজ। গাড়ির গেটে দাঁড়িয়ে একজন। আমি উনাকে বাংলাদেশ টিম ক্যাপ্টেনের কথা বলেছি। মার্টিনেজও আমার কথা (ইংরেজি) শুনে জামালের দিকে তাকিয়ে ছিলেন।’ শতদ্রু বললেন, ‘আমাকে কেউ একজন বলছিলেন। ওখানে অনেক ভিড় ছিল। নিরাপত্তার বিষয় ছিল। উনি (জামাল ভূঁইয়া) নাকি দাঁড়িয়ে ছিলেন। যা হোক, আমি আগে জানলে করে দিতাম। কাউকে অসম্মান করার ইচ্ছে আমার নেই।’ শতদ্রু বলেন, ‘এমিকে বলেছি জামালের কথা। সেই একটা জার্সিতে জামালকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।’

ওআ/

জামাল মার্টিনেজ

খবরটি শেয়ার করুন