বুধবার, ৩রা জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
১৮ই আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাহাঙ্গীর আজ যাবেন হাইকোর্টে

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ১০:২৩ পূর্বাহ্ন, ৭ই মে ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করতে আজ রোববার উচ্চ আদালতে যাবেন এ সিটির সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। অন্যদিকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে নির্বাচন কমিশনে যাবেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান। গতকাল শনিবার নগরীর সর্বত্র আলোচনায় ছিল এ দুটি ইস্যু। জনগণের ভোটের পাশাপাশি এখন ইসি ও আদালতের রায়ের দিকে তাকিয়ে দুই প্রার্থীর সমর্থকরা।

২৫ মে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে দেশের সর্ববৃহৎ সিটি করপোরেশন গাজীপুরের নির্বাচন। এ নির্বাচনে মেয়র পদে লড়বেন ৯ প্রার্থী। এদের মধ্যে নৌকার প্রার্থী আজমতউল্লা খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম খান মূল আলোচনায়। ঋণখেলাপির দায়ে জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থিতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাহাঙ্গীর। অন্যদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আজমত উল্লাকে সশরীরে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দিতে বলেছে ইসি।

গত বৃহস্পতিবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে আজমত উল্লা খানের প্রার্থিতা কেন বাতিল করা হবে না, বিষয়টি নিয়ে তার ব্যাখ্যা চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তাকে ৭ মে ইসিতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ বিষয়ে আজমত উল্লা খান বলেন, চিঠি হাতে পেয়েছি। এর মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্য প্রমাণিত হয়েছে। যেহেতু আমাকে ডেকেছে, আমি তাদের জবাব দেব। বিশ্বাস করি তাদের (ইসি) চাওয়ার ব্যাখ্যা দিতে সক্ষম হবো, আমি কোনো আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিনে বাংলাদেশ ব্যাংকের খেলাপি ঋণের কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম। ওই সিদ্ধান্তের পর জাহাঙ্গীর আলম বিভাগীয় কমিশনার কাছে মনোনয়নপত্র বৈধকরণের আপিল করেন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের ঋণখেলাপির কারণে মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তার দেওয়া ওই আদেশ বহাল রাখেন। গত শুক্রবার গাজীপুর ভোগড়া বাইপাস কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জুমার নামাজে গিয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক ছিল। তার পরও বিভাগীয় কমিশনার আমার আপিল খারিজ করে দিয়েছেন। আমি এখন উচ্চ আদালত হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাব। আমারটা বাতিল হলেও আমার মায়ের মনোনয়ন বৈধ আছে। আমি এই শহর রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছি। বড় মিথ্যা অপবাদ দিয়ে গত ১৮ মাস ধরে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। আমি শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই।

আরো পড়ুন: মহাধুমধামে রাজা চার্লস বসলেন সিংহাসনে

এখন পর্যন্ত মেয়র প্রার্থী হিসেবে ৯ জন নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। তারা হলেন আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল, হারুন অর রশিদ, সরকার শাহানুর ইসলাম স্বতন্ত্র, জাকের পার্টির রাজু আহমেদ ও জাহাঙ্গীরের মা জায়েদা খাতুন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম বলেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে কাজ করছে নির্বাচন কমিশন। আমরা আচরণবিধি মানতে প্রার্থীদের বিভিন্নভাবে নির্দেশনা দিচ্ছি। অনেককে সতর্ক করা হয়েছে, চিঠি দেওয়া হয়েছে। এরপরও বিধি ভঙ্গ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এম/


 

জাহাঙ্গীর হাইকোর্ট

খবরটি শেয়ার করুন