সোমবার, ৮ই জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
২৪শে আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জেগে উঠলেন 'মৃত নারী', জানালেন অভিজ্ঞতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

🕒 প্রকাশ: ০১:০৮ অপরাহ্ন, ১৫ই ডিসেম্বর ২০২৩

#

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক নারী প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম রেডিটে। পোস্টটি রেডিটে ভাইরাল হয়ে ছড়িয়েছে। শত শত মানুষ তাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেছেন। আর সেগুলোর জবাবও দিয়েছেন তিনি। 

লেখক লরেন কানাডের হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর তাকে ‘‘ক্লিনিক্যালি ডেড’’ ঘোষণা করা হয়েছিল। প্রায় আধা ঘণ্টা পর তিনি চেতনা ফিরে পান। ওই নারী বলেছেন, তিনি চেতনা ফিরে পাওয়ার পর গত সপ্তাহের সব স্মৃতি হারিয়ে ফেলেছিলেন।

রেডিটে ‘‘আস্ক মি এনিথিং’’ লেখা পোস্ট করে এই বিষয়ে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের জবাবে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ মুহূর্তের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। লরেন কানাডে বলেছেন, চেতনা হারিয়ে ফেলার পর তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দু’দিন কোমায় ছিলেন তিনি। পরে চেতনা ফিরে পান। অসুস্থ হয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার স্বামী সিপিআর শুরু করায় তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন লরেন। তিনি বলেন, আমার কাছে সবসময়ের ‘‘বীর’’ আমার স্বামী।

‘‘গত ফেব্রুয়ারিতে বাড়িতে হঠাৎ করে আমার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। আমার স্বামী জরুরি সেবা নম্বর ৯১১-এ ফোন করেন। এর পরপরই তিনি আমাকে সিপিআর করা শুরু করেন। আইসিইউতে ৯ দিন থাকার পর আমাকে ‘জ্ঞানগতভাবে অক্ষত’’ ঘোষণা করা হয়। তবে এমআরআইয়ে মস্তিষ্কের কোনও দৃশ্যমান ক্ষতি দেখা যায়নি।’’

রেডিট ব্যবহারকারীরা তার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করেন। চেতনা হারিয়ে ফেলার পর তার সাথে সাথে কী ঘটেছিল এবং যেসব পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল তাকে, সেসব বিষয়ে জানতে চান অনেকে। ভয়াবহ এই অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বইও লিখেছেন লরেন কানাডে।

তিনি বলেন, চেতনা ফিরে পাওয়ার পর ৩০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে মৃগীরোগীদের মতো খিঁচুনি অনুভব করা সত্ত্বেও তার ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রামের ফল— এই পরীক্ষায় মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পরিমাপ করা হয়, স্বাভাবিক আসে।

লরেন বলেন, ‘‘আমার স্বামী ৪ মিনিট ধরে সিপিআর করেছিলেন এবং কী করতে হবে সেই বিষয়ে তাকে জানিয়েছিলেন একজন অপারেটর। যদিও অতীতে তার এই বিষয়ে কোনও অভিজ্ঞতা ছিল না। সৌভাগ্যক্রমে আমরা একটি ফায়ার স্টেশনের কাছাকাছি ছিলাম এবং জরুরি মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টরা মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে বাসায় পৌঁছেছিলেন।’’

আরো পড়ুন:  নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার ৭ বৈজ্ঞানিক উপায়

মেডিক্যালের পরিভাষায় লরেন কানাডে ‘‘লাজারাস ইফেক্ট বা অটোরিসাসিটেশন’’ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন। তবে এই ধরনের ঘটনা বেশ বিরল। এতে একজন রোগীর ‘‘হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হলেও হঠাৎ করে প্রাণ ফিরে পাওয়ার লক্ষণ দেখা যায়।’’  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন এই নারীর ঘটনাটি বেশ চমকপ্রদ। কারণ বেশিরভাগ মানুষই পুনরুজ্জীবিত হওয়ার পর বেশিদিন বাঁচেন না। ১৯৮২ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই ধরনের ৬৫টি ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মাত্র ১৮ জন পুরোপুরি স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন।

সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট 

এইচআ/ আই.কে.জে

মৃত অভিজ্ঞতা ক্লিনিক্যালি ডেড মার্কিন নারী

খবরটি শেয়ার করুন